ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট ভারত, আমেরিকার রিপোর্ট খারিজ করল দিল্লি
ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাচন বাড়ছে। এমনই আপত্তিকর অভিযোগ করেছে আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন বা ইউএসসিআইআরএফ।
ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাচন বাড়ছে। এমনই আপত্তিকর অভিযোগ করেছে আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন বা ইউএসসিআইআরএফ। সেই অভিযোগ সপাটে খারিজ করেছে দিল্লি। ২০২০ সালের রিপোর্টে ভারতের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে। যা নাকোচ করে দিল্লি জানিয়েছে ভারত ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষযে সবচেয়ে বেশি সহিষ্ণু।
ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ
ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন বাড়ছে। মোদী সরকার সংখ্যালঘুদের উপর হিংসা এবং নির্যাতনে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনের রিপোর্টে। এমন সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসায় প্ররোচনা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। উস্কানি মুলক মন্তব্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
রিপোর্ট খারিজ দিল্লির
মার্কিন সংস্থার এই রিপোর্ট সপাটে খারিজ করেছে দিল্লি। ভারত সরকারের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব ভারতের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। েই রিপোর্ট একেবারেই একপেশে এবং পক্ষপাতদুষ্ট বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে দিল্লি। যদিও ভারতের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। তবে এই পরিস্থিিততে যে অভিযোগ মার্কিন সংস্থা করেছে তা অন্যমাত্রা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত। সংস্থার সম্মান বজায় রেখেই ভারত উচিত পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনকারীদের তালিকা
ধর্মীয় স্বাধীনতা যে সব দেশে লঙ্ঘন করা হয় তার তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তাতে ১৪টি দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে ভারতের নামও যুক্ত করা হয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার নিরিখে ভারত এবং পাকিস্তানকে এক আসনে বসিয়েছে এই মার্কিন সংস্থা। তাতে জায়গা দেওয়া হয়েছে চিন এবং রাশিয়াকেও।