পরপর ২দিন ৪০০টির বেশি করোনা ভাইরাস কেস, অষ্টম রাজ্য হিসাবে নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে দিল্লি
ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে দৈনিক করোনা কেসের সংখ্যা ছিল প্রায় ২০০টি। তবে ১ মার্চ থেকে রাজধানীতে দৈনিক করোনা কেসের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। নয় মাসে প্রথমবার ২৭ জানুয়ারি দিল্লিতে দৈনিক কেস একশোরও কম রিপোর্ট করা হয়।
না, এখনও দেশ থেকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক পুরোপুরিভাবে বিদায় নেয়নি। এরই মধ্যে শুক্রবার টানা দু’দিন দিল্লিতে ৪০০টিরও বেশি করোনা কেস ধরা পড়ায় নতুনভাবে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। গত দু’মাসে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তা বাড়িয়েছে দিল্লিবাসীর।
২দিনে ৪৩১টি কেস দিল্লিতে
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দৈনিক বুলেটিন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের মধ্যে দিল্লিতে ৪৩১টি কোভিড-১৯ কেস সনাক্ত হয়। জাতীয় রাজধানী, যেখানে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সংক্রমণের বৃদ্ধি রিপোর্ট হয়েছে, বৃহস্পতিবার ৪০৯টি কোভিড কেস রিপোর্ট হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, ৩ জানুয়ারি দৈনিক করোনা কেসের সংখ্যা ছিল ৪২৪টি। শুক্রবার ৩৫৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেচেন এবং নতুন করে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দিল্লিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা গ্রাফ
দেশের মধ্যে দিল্লি অষ্টম রাজ্য যেখানে করোনা ভাইরাস কেসের গ্রাফ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যগুলি হল মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কর্নাটক, গুজরাত, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানা।
মার্চ মাস থেকে রাজধানীতে বাড়ছে করোনা
ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে দৈনিক করোনা কেসের সংখ্যা ছিল প্রায় ২০০টি। তবে ১ মার্চ থেকে রাজধানীতে দৈনিক করোনা কেসের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। নয় মাসে প্রথমবার ২৭ জানুয়ারি দিল্লিতে দৈনিক কেস একশোরও কম রিপোর্ট করা হয়। দিল্লিতে করোনা ভাইরাস পজিটিভ হার ০.৬০ শতাংশ এবং কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮৮টি। গত ২৪ ঘণ্টায় জাতীয় রাজধানীতে করোনা টেস্ট হয়েছে ৭২,০৩১।
গোটা দেশজুড়ে ২৩ হাজারের বেশি করোনা কেস
শুক্রবার গোটা দেশে ২৩,২৮৫টি করোনা ভাইরাস কেস ও ১১৭টি মৃত্যুর খবর রিপোর্ট হয়। যার মধ্যে দেশের সক্রিয় করোনা কেসের ৮৫ শতাংশ অবদান রয়েছে মহারাষ্ট্র, কেরল, পাঞ্জাব, কর্নাটক, গুজরাত ও তামিলনাড়ুর। অন্যদিকে দৈনিক করোনা কেস ও মৃত্যু দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কেরল ও পাঞ্জাব।
২.৬১ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন ডোজ
এই রাজ্যগুলিতে করোনা ভাইরাসের কেস এমন সময় বৃদ্ধি পেয়েছে যখন দেশ ২.৬১ কোটির বেশি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডোজের বন্দোবস্ত করেছে। দেশের সক্রিয় করোনা ভাইরাস কেসের হার ২ লক্ষ দিকে এগোচ্ছে।
কেউ গ্রেফতার হয়নি কেন? নন্দীগ্রাম কাণ্ডে একাধিক প্রশ্ন তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির