দিল্লির ব্যর্থতার জন্য দায়ী অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী নন, দাবি শিবসেনার
দিল্লির ব্যর্থতার জন্য দায়ী অমিত শাহ, মোদী নন, দাবি শিবসেনার
দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিজেপির এই অবস্থার জন্য অমিত শাহকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাল শিবসেনা। এর জন্য নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা দায়ী নন। মোদী করিশ্মায় লোকসভা ভোট উতরে গেলেও প্রত্যেকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে যে প্রাদেশিক দলগুলি বিজেপিকে কড়া টক্কর দিচ্ছে সেটা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল।
হারের দায় অমিত শাহের
দলের চাণক্য বলা হয় অমিত শাহকে। যার বুদ্ধিমত্তা আর বিচক্ষণতায় ভর করে পর পর দুটি লোকসভা ভোটে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেিপ। তবে এক্ষেত্রে যে মোদী করিশ্মা অমিত শাহের কাজ অনেকটা সহজ করে দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্ত গত কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে কড়া টক্কর দিচ্ছে প্রাদেশিক রাজনৈতিক দলগুলি। সেই মতো ভোট স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছেন বিজেপির চাণক্য। যার ফল মিলেছে ভোট বাক্সে। কাজেই দিল্লি বিধানসভা ভোটেও জনগণের মনোভাব পড়তে ব্যর্থ হয়েছেন অমিত শাহ।
দিল্লির ভোটকে সম্মানের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল
দিল্লির ভোটকে সম্মানের লড়াইয়ে পরিণত করেছিলেন অমিত শাহ। তাঁর একাধিক প্রচার ভাষণে সেই ঔদ্ধত্য প্রকাশ পেয়েছে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে শিবসেনার মুখপত্র সামনায়। জেপি নাড্ডা দলের সভাপতির পদে বসলেও আসল সিদ্ধান্ত অমিত শাহই নিয়ে থাকেন। সেকারণেই মোদীর উর্ধ্বে উঠে দিল্লিতে ভোটের ময়দানে নেমেছিলেন তিনি।
মেরুকরণের রাজনীতি ধোপে টেকেনি
শিবসেনার মুখপত্র সামনায় অমিত শাহের ঔদ্ধত্য, অহঙ্কার এবং ভেদাভেেদর রাজনীতিকে দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিজেপির হারের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অমিত শাহ যে ভাব নিয়ে দিল্লিতে প্রচার চালিয়েছেন তা মেনে নেননি রাজধানীর বাসিন্দারা। উল্টো দিকে কেজরিওয়ালের সাধারণ উন্নয়নের রাজনীতি অনেক বেশি গ্রহণ যোগ্য বলে মনে হয়েছে দিল্লিবাসীর কাছে।