আন্দোলনের নামে অরাজকতা! লালকেল্লা কাণ্ডের দোষীদের ধরতে ছক তৈরি অমিত শাহের
প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি৷ পুলিশ, সাধারণ মানুষ ও বিক্ষোভকারীদের অনেকেই জখম হয়েছে৷ দিল্লি পুলিশের সদর দপ্তরের সামনে আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ে৷ লালকেল্লার ভিতরে পুলিশের উপর চড়াও হতে দেখা যায় কয়েকজন আন্দোলনকারীকে৷ ভিডিওতে লাঠি দিয়ে পুলিশকর্মীদের মারতেও দেখা যায়৷ তাঁদের হাত থেকে বাঁচতে দুর্গের উঁচু পাঁচিল টপকাতে দেখা যায় পুলিশকর্মীদের৷

২০০ জন আন্দোলকারীকে ভাঙচুর করার দায়ে আটক করা হয়েছে
পুলিশের ঝাঁপ দেওয়ার সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এরকমই আরও ভিডিও এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিল দিল্লি পুলিশ। মূলত অমিত শাহের মন্ত্রকের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। এদিকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে ক্রাইম ব্রাঞ্চকে। এদিকে ইতিমধ্যেই ২০০ জন আন্দোলকারীকে ভাঙচুর করার দায়ে আটক করা হয়েছে।

সংঘর্ষে ৩০০ জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন
গতকালের সংঘর্ষে ৩০০ জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে৷ তাদের তরফে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ বেধেছে৷ অধিকাংশ ঘটনায় ঘটেছে মুকরবা চক, গাজিপুর, এ পয়েন্ট আইটিও, সীমাপুরী, নাংলোই টি পয়েন্ট, টিকরি সীমান্ত ও লালকেল্লায়৷ সংঘর্ষে ৩০০ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন৷ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে৷'

কী কারণে বিপত্তি?
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, 'কৃষক-দিল্লি পুলিশের যৌথ সম্মত রুট অনুযায়ী ২৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে প্রায় ছয়-সাত হাজার ট্রাক্টর জমা হওয়ার কথা ছিল সিঙ্ঘু সীমান্তে৷ ট্রাক্টর ব়্যালি করে যাওয়ার কথা ছিল সঞ্জয় গান্ধী ট্রান্সপোর্ট নগরে। সেখান থেকে ব়্যালিটি ডান দিকে যাওয়ার কথা ছিল৷

সেন্ট্রাল দিল্লির দিকে মার্চ করার চেষ্টা
পুলিশের দাবি, 'প্রস্তাবিত সেই রুটে না গিয়ে দিল্লি পুলিশের বাধা সত্ত্বেও সেন্ট্রাল দিল্লির দিকে মার্চ করার চেষ্টা করে নিহাঙ্গ (সশস্ত্র শিখ যোদ্ধা) নেতৃত্বধীন কৃষকরা৷ তখনই পুলিশকর্মীরা বাধা দিলে তাঁদের উপর চড়াও হন কৃষকরা৷ পাশাপাশি মুকরবা চক ও ট্রান্সপোর্ট নগরের মাঝে তৈরি একাধিক ব্যারিকেড ও ভেঙে দেওয়া হয়৷ একই ঘটনা সামনে আসে গাজিপুর, টিকরি সীমান্তে৷'

ট্রাক্টর মিছিল ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা
এদিকে মঙ্গলবার দিল্লির পথে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার পরই ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য়রাই কৃষক আন্দোলনকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন৷ পাশাপাশি, আন্দোলনকারীদের শৃঙ্খলা মেনে চলারও আবেদন করেন তিনি৷ টিকায়েতের দাবি, যাঁরা হিংসা ছড়িয়েছেন, তাঁরা কেউই কৃষক নন৷ টুইটে সংগঠনের সদস্য়দের প্রতি তাঁর বার্তা, তাঁরা সকলেই যেন নির্দিষ্ট রুটেই ট্রাক্টর মিছিল করেন৷
