করোনা লকডাউন : অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় ৪০ জন প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে গেল পুলিশ
করোনা ভাইরাসের অন্যতম হটস্পট এখন দিল্লি। সৌজন্য দিল্লির মসজিদে হওয়া ধর্মীয় সমাবেশ। সেখান থেকে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ। এর জেরে কোভিড১৯-এর প্রকোপের প্রবল ধাক্কা খেয়েছে দিল্লি সহ গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে আরও কড়াকড়ি হয়েছে দিল্লির লকডাউন। এদিকে এই অবস্থাতে নেই অ্যাম্বুলেন্সও। তবে নিয়োযিত রয়েছে দিল্লি পুলিশ।
লকডাউনেও মানুষের জন্য নিয়োযিত পুলিশ
করোনা লকডাউনেও সব স্বাভাবিক রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে পুলিশ। লকডাউন তো কী! যদি কারোর প্রশব যন্ত্রণা শুরু হয় তবে কী করা যাবে? তাহলে সেখানে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে দিল্লি পুলিশ। গত কয়েকদিনে এরকমই ৪০ জন প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মানবিকতার উদাহরণ রেখেছে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর
দিল্লিতে থাকাকালীন যদি লকডাউনের জন্য কেউ কোনও অসুবিধায় পড়ে তবে শুধু ১১২ বা ২৩৪৬৯৫২৬ নম্বরে ফোন করলেই পুলিশ হাজির হবে আপনা সাহায্যে। প্রসূতিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ছাড়াও দিল্লি পুলিশ গত কয়েকদিনে মোট ১.৫ লক্ষ মানুষকে খাবার খাইয়েছে।
করোনা হটস্পট রাজধানী
এদিকে করোনা সংক্রমণের হটস্পট এখন রাজধানী। হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লির দিলশাদ বাগান এবং নিজামুদ্দিন। দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিনে তবলিগ-ই-জামাতের মসজিদ থেকে কমপক্ষে ৮৫০ জনকে অন্য একটি জায়গায় কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে বলে খবর। এদের মধ্যে ৪০০ জনেরও বেশি জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ দেখা গিয়েছে বলে জানা যায়।
নিজামুদ্দিনের ঘটনা
প্রসঙ্গত, গত ১ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে দিল্লির ওই মসজিদে অন্তত ২ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। দিল্লিতে ওই মসজিদে শুধু ভারত নয়, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কিরগিজিস্তান থেকেও বিভিন্ন মানুষজন এসে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখান থেকেই ব্যাপক হারে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর।