চাইনিজ লোন অ্যাপের মাধ্যমে জুলুমবাজি, গ্রেফতার ৪
চাইনিজ লোন অ্যাপের মাধ্যমে জুলুমবাজি, গ্রেফতার ৪
বুধবার দিল্লি পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে যারা বহু কোটি টাকার চাইনিজ লোন অ্যাপ চালানোর সঙ্গে জড়িত ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা জুলুমবাজির একটি চক্রের সঙ্গেও জড়িত ছিল।
চিনের লোন অ্যাপ ফার্মগুলির সাথে যোগসাজশে ভারতের বহু মানুষের থেকে জুলুমবাজি করার একটি র্যাকেটে চারজন জড়িত ছিল।" ডিসিপি আউটার নর্থ ব্রিজেন্দ্র কুমার যাদব এমনটাই জানিয়েছেন৷ যাদব যোগ করেছেন যে ১৪৯ জন এর সাথে যুক্ত ছিল যারা অবমাননাকর মর্ফড ছবি পাঠিয়ে অর্থ আদায়ের জন্য লোকেদের হুমকি দিত এদের বিরুদ্ধে 41.1 (a) CrPC এর অধীনে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ মোট ১৪১টি কিপ্যাড ফোন, ১০ টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ৩ টি ল্যাপটপ, ১৫৩ টি হার্ডডিস্ক এবং ৪টি ডিভিআর বাজেয়াপ্ত করেছে। এই অ্যাপ কোনও গ্যারান্টি ছাড়াই তাত্ক্ষণিক ঋণের সাথে ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করে। একবার ব্যবহারকারী তার নম্বর শেয়ার করলে তারা একটি লিঙ্ক পাঠায় এবং একবার ক্লিক করলে এটি সম্পূর্ণ ঠিকানা বই ডাউনলোড করে।
তারপর ঋণের টাকা আসে। কয়েকদিন পরে তারা ব্যবহারকারীকে মোটা সুদ ফেরত দেওয়ার জন্য কল করা শুরু করত। যদি তারা টাকা দিতে না করে, তাহলে প্রতারকরা ব্যবহারকারীকে কল করা এবং গালিগালাজ দেওয়ার পাশাপাশি ঠিকানা বইতে থাকা সমস্ত ব্যবহারকারীর মর্ফড, নকল নগ্ন ছবি পাঠাতে শুরু করত। অনেক লোক যারা তাদের সম্মান বাঁচাতে চায় এবং আবার প্রতারকরা আরও টাকা চাইবে ভেবে বয় পেয়েছে তাঁরা টাকাও দিয়েছে। ঋণের টাকা ক্রিপ্টো আকারে চিন থেকে আসছিল বলে জানা যায় এবং ভারতের যারা মিডিয়াম সেই ব্যবহারকারীকে টাকা দেওয়ার জন্য তা ভারতীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত করত। এর অনেক স্তর রয়েছে। দেশের অনেক জায়গায় কল সেন্টার কালেকশন এজেন্ট হিসেবে কাজ করত এদের লোকেরা।
'একুশে জুলাই’য়ের মঞ্চে কে ভিড়বেন তৃণমূলে, দলবদলের জল্পনায় কাদের নাম উঠে আসছে
সম্প্রতি কলকাতার বাসিন্দাদের টাকা হাতাচ্ছে চিনা জালিয়াতরা লোন অ্যাপের নামে নেপালে বসে। তাদের সাহায্য করছিল ভারতীয় সহযোগীরা। এরা যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দা। সম্প্রতি কয়েকটি জালিয়াতির তদন্ত শুরু করে লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে উঠে আসে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।পরে বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্যে নেপাল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগও করে গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের অনুরোধে দেড়শোর উপর ভুয়ো চিনা লোন অ্যাপ বা ঋণ অ্যাপ মুছে ফেলেছে সার্চ ইঞ্জিন সংস্থা গুগল। তারপরেও এইও কাণ্ড ঘটেছে শহরে।