ময়দানে স্বয়ং অমিত শাহ! দিল্লিজুড়ে তাণ্ডবের কারণ খুঁজতে দায়ের একের পর এক মামলা
রাজপথে তখন চলছিল সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেড৷ অপরদিকে তখন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের ট্রাক্টর ব়্যালির জেরে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল দিল্লি৷ বেলা গড়াতেই সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায় ৷ লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন কৃষকরা৷ নিশান সাহিবের পতাকা (শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় পতাকা) উত্তোলন করা হয়৷ বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়া হয়৷ ভাঙচুর চালানো হয় সরকারি বাসে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে৷ দফায় দফায় বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হন কয়েকজন পুলিশকর্মী।

এফআইআর এর সংখ্যা বেড়ে ২২
এদিকে দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিলের ঘটনায় এফআইআর এর সংখ্যা বেড়ে ২২৷ দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, আরও এফআইআর দায়ের হতে পারে৷ তবে, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি৷ দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, 'পূর্ব জেলায় ৫টি এফআইআর দায়ের হয়েছে৷ তিনটি দ্বারকা ও একটি শাহদরা জেলায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।'

সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর রাস্তা
প্রসঙ্গত, সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর রাস্তা৷ আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলোর ট্রাক্টর র্যালিকে ঘিরে ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে দিল্লির অবস্থা৷ কৃষকদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে৷ দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ করা হয় ব্যারিকেডও৷ তবে, অপ্রতিরোধ্য কৃষকেরা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে৷ দুপুরের দিকে আন্দোলনরত কৃষকদের একটি দল প্রবেশ করে লালকেল্লায়৷ সেখানে দেশের পতাকার পাশাপাশি তাঁদের পতাকাও ওড়ায় আন্দোলনরত কৃষকেরা৷

জখম হন কমপক্ষে ৮৬ জন পুলিশ কর্মী
আন্দোলনরত কৃষক পুলিশ সংঘর্ষে জখম হন কমপক্ষে ৮৬ জন পুলিশ কর্মী৷ ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কিছু সাধারণ মানুষও৷ ঘটনার পরই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় রাজধানীকে৷ মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত ১৫ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় একাধিক মেট্রো স্টেশন৷ বিচ্ছিন্ন করা হয় ইন্টারনেট সংযোগও৷

পুলিশের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি
পুলিশের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মার্চ করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়৷ এই নিয়ে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয় কৃষক সংগঠনের নেতাদের৷ তাঁরা দিল্লি পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে সম্মত রুট অনুযায়ী একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।