দিল্লি হিংসার ঘটনায় মসজিদে গেরুয়া পতাকা তোলা হয়নি জানালেন দিল্লি পুলিশ কমিশনার
দিল্লি হিংসার ঘটনায় মসজিদে গেরুয়া পতাকা তোলা হয়নি জানালেন দিল্লি পুলিশ কমিশনার
এবার জাহাঙ্গীরপুরি হিংসার ঘটনায় মুখ খুললেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থান। মসজিদে গেরুয়া পতাকা বাঁধার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন কমিশনার আস্থানা। পুলিশ কমিশনার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে জাহাঙ্গীরপুরি এলাকার মসজিদগুলিতে গেরুয়া পতাকা তোলা হয়েছিল। তিনি আরও আশ্বস্ত করেছেন যে পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়া কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছে৷ বারবার সতর্ক করা হচ্ছে যে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেছেন যে দিল্লি পুলিশের ১৪ টি দল সবরকমের ভাবে বিষয়টির তদন্ত করছে।
মসজিদের উপরে তোলা হয়নি গেরুয়া পতাকা!
দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মসজিদের উপরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল বলে যে খবর ছড়ানো হয়েছে যার ফলে দিল্লিতে হনুমান জয়ন্তীতে হিংসার ঘটনা ঘটেছে সেটি পুরোপুরি ভুল৷ তবে কোন দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বললেনি রাকেশ। তিনি বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছে, এখন ঠিক কী কারণে হাতাহাতি হয়েছে, তদন্ত শেষ করার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না। এখন পর্যন্ত তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। শান্তি বজায় রাখতে জাহাঙ্গীরপুরী এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হলে পুলিশ মোতায়েন কম করা হবে।
২৫ জন গ্রেফতার হয়েছে দিল্লি হিংসার ঘটনায়!
দিল্লি পুলিশ কমিশনার আরও জানান যে 'দিল্লিতে হিংসায় ন'জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন।' সংবাদমাধ্যমের খবর ঘটনার পরও জাহাঙ্গীরপুরির সি-ব্লক-এ দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ টিমের দিকে ইট ছোঁড়া হয়। যেখানে তারা হিংসার ঘটনার তদন্ত করছিলেন। যদিও পরে দিল্লি পুলিশ নিজেই এই খবরটিকে ঘটনার অতিরঞ্জন বলে অভিহিত করেছে। জাহাঙ্গীরপুরি হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং প্রধান অভিযুক্ত আনসার ও আসলামকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে৷ মামলার অপর চার আসামিকে ৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনা নিয়ে কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শী গৃহবধূ?
হনুমান জয়ন্তীতে দিল্লি হিংসায় প্রত্যক্ষদর্শী এক স্থানীয় এক মুসলিম গৃহবধু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'যখন সংঘর্ষ শুরু হয়, তখন মাত্র তিনজন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। হিন্দুরা যখন ৪০০-৫০০ লোক নিয়ে শোভা যাত্রার পরিকল্পনা করছিল, তখন কেন দিল্লি পুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে? মিছিল থেকে মুসলমানদের উত্তেজিত করা হয়েছিল। প্রতিশোধ হিসাবে, আমরাও একই কাজ করেছি।'