দশ বছর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অবশেষে গ্রেফতার আইএম জঙ্গি
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের হাতে ধরা পড়ল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি আরিন খান ওরফে জুনেইদ। ২০০৮ সালে হওয়া বাটলা এনকাউন্টার মামলার পর থেকে পলাতক ছিল সে
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের হাতে ধরা পড়ল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি আরিন খান ওরফে জুনেইদ। ২০০৮ সালে হওয়া বাটলা এনকাউন্টার মামলার পর থেকে পলাতক ছিল সে। এদিন ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (স্পেশাল সেল) পিএস খুশওয়াহা জুনেইদের গ্রেফতারি খবর নিশ্চিত করেছেন। দশ বছর ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল জুনেইদ।
পেশায় একসময়ের ইঞ্জিনিয়ার জুনেইদ উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা। বাটলা এনকাউন্টারের সময় জামিয়া নগরের এল-১৮ নম্বর বাড়িতে লুকিয়ে ছিল জুনেইদ। পরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায়।
দিল্লির পাহাড়গঞ্জ, বরাখাম্বা রোড, কনট প্লেস, গ্রেটার কৈলাশ, গোবিন্দপুরী এলাকায় পরপর বিস্ফোরণের ছয়দিন পরে বাটলা হাউসে এনকাউন্টার হয়। দিল্লি বিস্ফোরণে মোট ১৬৫ জন নিহত হয়েছিলেন, আহত ছিলেন শতাধিক মানুষ।
এনআইএ জুনেইদের মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ও দিল্লি পুলিশ ৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করে তল্লাশিতে নামে। তবে এতদিন জুনেইদ অধরা ছিল।
পুলিশ বলছে, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের ঝিমিয়ে পড়া নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে তা চাঙ্গা করার কাজে নেমেছিল জুনেইদ। তার গ্রেফতারের পর মুজাহিদিনের ভারতে নেটওয়ার্ক নিয়ে নানা তথ্য জেরায় উঠে আসতে পারে।