রিজ কাণ্ডের ছায়া এবার দিল্লিতে, মর্মান্তিক পরিণতি দিল্লির ফটোগ্রাফার যুবকের
ভিন্ন ধর্মে প্রেম। এই অভিযোগেই বান্ধবীর পরিবারের বিরুদ্ধে কোপানোর অভিযোগ। মৃত্যু হয়েছে দিল্লির এক ফটোগ্রাফারের। বান্ধবীর মা, বাবা, ভাই এবং কাকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভিন্ন ধর্মে প্রেম। এই অভিযোগেই বান্ধবীর পরিবারের বিরুদ্ধে ছুরি দিয়ে কোপানোর অভিযোগ। মৃত্যু হয়েছে দিল্লির এক ফটোগ্রাফারের। বান্ধবীর মা, বাবা, ভাই এবং কাকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অঙ্কিত সাক্সেনা। বছর ২৩-এর এই যুবকের সঙ্গে বছর তিনেকের সম্পর্ক ছিল বছর ২০-র শেহজাদির। একে-অপরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত কথা-বার্তাও চলত। যদিও বান্ধবীর বাড়ি থেকে এই সম্পর্কের বিষয়ে কড়া আপত্তি ছিল।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিজয় কুমার জানিয়েছেন, ছেলেটি ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় মহিলার পরিবারের পক্ষ থেকে এই সম্পর্কের ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়েছিল। এই সম্পর্ক শেষ করার জন্য অঙ্কিত সাক্সেনাকেও বলা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাত নটা নাগাদ শেহজাদির পরিবারের সদস্যরা অঙ্কিতের বাড়ির কাছেই তাঁর সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় পশ্চিম দিল্লির মেট্রো স্টেশনে অঙ্কিতের জন্য অপেক্ষা করছিল শেহজাদি।
অঙ্কিতের বাবা যশপাল সাক্সেনা অভিযোগ করেছেন, শেহজাদির পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাতে এসে অঙ্কিতকে বাড়ি থেকে বেরোতে বলে। যখন সে বেরোয়, তখনই তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারা হয়।
অঙ্কিতকে ব্যাপাক মারধর করা হয়। তার গলায় ছুরিও চালানো হয়। অভিযোগ করেছে অঙ্কিতের পরিবার।
অবস্থা দেখে অঙ্কিতের মা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টাও হয়।
অঙ্কিতের বাবার অভিযোগ, যখন অঙ্কিতের মা বাইরে যান, তখন তাঁর ওপরও হামলা করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার আগেই পালিয়ে যায় শেহজাদির পরিবারের সদস্যরা।
অঙ্কিতের বাবার দাবি, অঙ্কিত এবং শেহজাদির সম্পর্কের বিষয়ে তাঁরা জানেন না। যখন বিষয়টি নিয়ে অঙ্কিতকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সে বিষয়টি অস্বীকার করেছিল।
অঙ্কিতের বাবার অভিযোগ, মহিলার পরিবারের সম্মানার্থে হত্যা করা হয়েছে তাঁর ছেলেকে। হত্যার উদ্দেশেই এসেছিল শেহজাদির পরিবার। কেননা পরিবারের সদস্যদের হাতে ছুরি ছিল।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।