দিল্লির বায়ু দূষণ সাংঘাতিক রূপ নিতে চলেছে, নাগরিকদের আগাম সতর্কতা সরকারের
দিল্লির বায়ু দূষণ ফরে সাংঘাতিক রূপ নিতে চলেছে। শীত যত বাড়ছে ততই দৃশ্যমানতা কমছে। সেই কারণে আগাম ১০ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, রবিবার পর্যন্ত বাতাসের মান গুরুতর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
দিল্লির বায়ু দূষণ ফরে সাংঘাতিক রূপ নিতে চলেছে। শীত যত বাড়ছে ততই দৃশ্যমানতা কমছে। সেই কারণে আগাম ১০ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, রবিবার পর্যন্ত বাতাসের মান গুরুতর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
সেই কারণেই দিল্লির সরকার নাগরিকদের ওয়ার্ক ফর্ম হোম বা বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দিয়েছে। একইসঙ্গে অপ্রয়োজনীয় নির্মাণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে বায়ু-মান খারাপ, তাই কারপুল ব্যবহারেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মোট কথা দি্ললির সরকার আগেভাগেই এবার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
শুক্রবার দিল্লিতে ২৪ ঘন্টা গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৯৯। এই এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা বায়ুমানের সূচক যদি ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকত তবে সেটাকে বিপদ হিসেবে গণ্য করা হয়, আর ৩০১ থেকে ৪০০ মধ্যে থাকতে অতি বিপদ, আর ৪০১ থেকে ৫০০ হলে গুরুতর বিপদ হিসাবে বিবেচিত হয়।
শুক্রবার কেন্দ্রের বায়ু মানের প্যানেল উল্লেখ করেছে, শান্ত বাতাস এবং স্থিতিশীল বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থার কারণে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স গুরুতর রূপ নিতে পারে। অর্থাৎ বায়ুমানের পতন হতে পারে। আগামীকাল পর্যন্ত বাতাসের মান 'গুরুতর' থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর পরবর্তী পর্যায়ে 'সিভিয়ার প্লাস' য়াতে না হয়, তার জন্য দিল্লিতে কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দিল্লিতে ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখরা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জোড়-বিজোড় ভিত্তিতে যানবাহন চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দিল্লি
সরকার
এছাড়াও
নতুন
করে
আরও
কয়েকটি
সিদ্ধান্ত
নিতে
চলেছে।
যেমন,
বিএস-থ্রি
পেট্রোল
এবং
বিএস-ফোর
ডিজেলচালিত
ফোর-হুইলার
ব্যবহারে
নিষেধাজ্ঞা
জারি
করা
হতে
পারে।
এ
ব্যাপারে
আলোচনা
চলছে,
তারপরই
সিদ্ধান্ত
গ্রহণ
করা
হবে।
আর
বেশ
কিছু
কাজে
নিষেধাজ্ঞা
আরোপ
করা
নিয়ে
আলোচনা
চালাচ্ছে
সরকার।
দূষণ
সৃষ্টিকারী
কার্যকলাপ
বন্ধ
রাখার
পরামর্শ
দেওয়া
হচ্ছে।
এর
আগে
বুধবার
কেন্দ্রের
বায়ুমানের
প্যানেল
বলেছিল,
দিল্লি-এনসিআরে
কয়লা-সহ
অননুমোদিত
জ্বালানী
ব্যবহার
করা
শিল্পগুলি
১
জানুয়ারি
থেকে
বন্ধ
করে
দিতে
হবে।
তা
না
হলে
তাদের
উপর
ভারী
জরিমানা
আরোপ
করা
হবে।
তবে,
তাপবিদ্যুৎ
কেন্দ্রগুলিতে
কম
সালফার
কয়লা
ব্যবহারের
অনুমতি
দেওয়া
হয়েছে।
অক্টোবর-নভেম্বরে দিল্লি-এনসিআরে বিপজ্জনক দূষণের মাত্রার পিছনে একটি প্রধান কারণ খড় পোড়ানো। এই বছর পাঞ্জাবে ৩০ শতাংশ এবং হরিয়ানায় ৪৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে৷ এবার দিল্লিতে কটোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে সরকার। যমুনায় দূষণ গত পাঁচ বছরে যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। দিল্লি সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে একটি বিধিবদ্ধ বন্দোবস্ত করতে চাইছে।