ফের করোনা গ্রাসে রাজধানী! নতুন সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বের বড় বড় শহরগুলিকেও পিছনে ফেলল দিল্লি
প্রত্যহ নতুন রেকর্ড ভাঙছে দিল্লি। বর্তমানে দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বের শহরগুলির মধ্যে শীর্ষ স্থানে পৌঁছে গেল দিল্লি। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগৃহিত তথ্যানুযায়ী, নভেম্বরের শুরু থেকেই ভারতের রাজধানীতে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে করোনা স্রোত। ফলত আশঙ্কায় দিল্লির আমজনতা থেকে রাজনীতিবিদ, প্রত্যেকে।
দিল্লির ধারে কাছেও আসতে পারেনি অন্য কোনও শহর
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেমস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসএসই)- বিভাগের তথ্য বলছে, অগাস্ট মাসে ব্রাজিলের সাও পাওলোয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাই একমাত্র, যা দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার সাথে তুলনাযোগ্য! ১১ই নভেম্বর দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত হন ৮,৫৯৩ জন, যা রেকর্ড। ২১শে সেপ্টেম্বর টেক্সাস-এ ১০,০০০-এর অধিক আক্রান্ত হলেও পরে সংক্রমণের হিসাবে গোলযোগ দেখা যায়।
নিউইয়র্ককেও ছাপিয়ে গেছে দিল্লি
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র একদিনে সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা বিচার করে একটি শহরে করোনার ভাবগতিক বুঝতে গেলে ভুলের আশঙ্কা থেকে যায়। কিন্তু দিল্লিতে যেভাবে প্রত্যহ আক্রান্তের সংখ্যায় ঢল দেখা যাচ্ছে, তাতে নিউইয়র্ক ও সাও পাওলোকে আক্রান্তের নিরিখে নিতান্তই শিশু বলে বর্ণনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে দিল্লিতে প্রত্যহ গড় আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৩৪১ যা নিউইয়র্ক (৫,২৯১) ও সাও পাওলো (৩,২১৭)-এর তুলনায় অনেকটাই বেশি।
দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণে কম মৃত্যু
এদিকে ইতিমধ্যেই করোনার দ্বিতীয় জোয়ার ঢুকে পড়েছে ইউরোপ ও আমেরিকার একাংশে। অন্যদিকে দিল্লিতে করোনায় মৃত্যুসংখ্যা বিজ্ঞানীদের শঙ্কিত করলেও আশার কথা, প্রথমবারের সংক্রমণের তুলনায় এবারের কোভিডে মৃত্যু অনেকটাই কম। যদিও যে মৃত্যুঢল দিল্লি বর্তমানে প্রত্যক্ষ করছে, তা মহামারী শুরুর নিউইয়র্কের থেকেও অনেকটাই কম বলে জানাচ্ছেন সমীক্ষকরা।
সংক্রমণ বাড়লেও বিধ্বংসী আকার ধারণ করেনি, দাবি বিশেষজ্ঞদের
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জুনের মাঝামাঝি সময়ে দিল্লিতে প্রত্যহ মৃত্যুর সাপ্তাহিক গড় ছিল ১৩৩ জন, যা বর্তমানে নেমে হয়েছে ৮৭। যদিও এপ্রিলের শুরুতে করোনা সংক্রমণের চরম সময়ে নিউইয়র্কে এই সংখ্যাটা ছিল ৫৬৭ ও জুন মাসে সাও পাওলোতে ছিল ১১০ জন। ভারতীয় গবেষকরা বলছেন, দিল্লিতে সংক্রমণ বাড়লেও তা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছায়নি এখনও।