বাংলায় ৯ দিনের জন্য নজরদারি শিথিল হলেও, ক্রিসমাস-বর্ষবরণে ওমিক্রন মোকাবিলায় ৫ রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ
ক্রিসমাসের (Christmass) পরেই রয়েছে চিরাচরিত বর্ষবরণ (New Year)। অনেকেই তাঁদের পরিকল্পনা করে ফেলেছেন বর্ষশেষের আনন্দ-উৎসবের জন্য। যদিও বিভিন্ন রাজ্যে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্য সরকার পরিস্থিতির মোকাবিলায় কড়া ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে। তাতে অনেকের বর্ষবরণ মাটি হওয়ার সম্ভাবনা। একএক রাজ্যে নিষেধাজ্ঞা একেক রকমের হলেও বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের আনন্দ উপভোজের জন্য নয়দিনের জন্য কড়া নজরদারি প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে।

দিল্লি
দিল্লির আমআদমি নেতৃত্বাধীন সরকার ক্রিসমাস এবং বর্ষবরণের সব ধরনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির তরফে পাঠানো নির্দেশিকায় জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, কোনও ধরনের জমায়েত করা চলবে না। এছাড়াও সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ক্রীড়া, বিনোদন, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় জমায়েতের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

মহারাষ্ট্র
এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যেকারণে মুম্বইয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তরফে নতুন করে গাইডলাই জারি করা হয়েছে। বদ্ধ জায়গায় ৫০ শতাংশ এবং খোলা জায়দায় ২৫ শতাংশ লোক নিয়ে অনুষ্ঠান পালন করা যাবে। কোনও পার্টিতে যদি ২০০-র বেশি লোক জমায়েতের সম্ভাবনা থাকে তাহলে লিখিত অনুমতি নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়।

কর্নাটক
কর্নাটক সরকারের তরফ থেকেই ক্রিসমাস ও বর্ষবরণ পালনের ওপরে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই জানিয়েছেন, জনসাধারণকে অনুষ্ঠান পালন করতে হবে কিছুটা বিধিনিষেধ অবলম্বন করে। রেস্তোরাঁগুলি ৫০ শতাংশ বসার জায়গায় পূরণ করতে পারবে। তবে যাঁরা আসবেন, সবারই পুরো টিকা নেওয়া থাকতে হবে। নতুন এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত।

উত্তর প্রদেশ
উত্তর প্রদেশের চার্চগুলি মধ্যরাতের প্রার্থনায় শুধুমাত্র আমন্ত্রিতদের জন্য খোলা রাখার কথা জানিয়েছে। জনসমাগম এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রচুর ক্লাব এবং হোটেল বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পালন না করার কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে মল এবং কিছু হোটেল করোনার বিধিনিষেধ সহযোগে অনুষ্ঠান পালন করার কথা জানিয়েছে।

হরিয়ানা
হরিয়ানা সরকারের তরফে নতুন বছরের শুরুর দিন থেকে মল, রেস্তোরাঁ, ব্যাঙ্ক কিংবা অফিসে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুরো ভ্যাকিসন নেওয়া থাকবে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে। পাশাপাশি বাসস্ট্যান্ড কিংবা রেলস্টেশনে যাওয়ার ক্ষেত্রেও একই নির্দেশিকা বলবত করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ
গত ১৫ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০২২-এর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনা বিধিনিষেধ বাড়ানো হলেও, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। মূলত রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ক সাধারণ মানুষ ও গাড়ি চলাচলের ওপরে নিষেধাজ্ঞা ওই নয়দিনের জন্য তুলে নেওয়া হয়েছে।