অক্সিজেন সরবরাহে পুলিশের গ্রিন করিডর, সোয়াব সংগ্রহ বন্ধ ল্যাবে, এক নজরে দিল্লির করোনা চিত্র
অক্সিজেন সরবরাহে পুলিশের গ্রিন করিডর
দিল্লিতে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে স্বাস্থ্য পরিষেবার অবনতি হচ্ছে ক্রমশঃ। এরই মধ্যে আরটি–পিসিআর বা অ্যান্টিজেন টেস্টের চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। বেশ কয়েকটি বেসরকারি ল্যাব কমপক্ষে ২দিনের জন্য সোয়াব পরীক্ষা স্থগিত করে রেখেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী, দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬, ৫২৬টি করোনা টেস্ট হয়েছে। বর্তমানে লোকবল ও পরিকাঠামোগত সমস্যার জন্য কমপক্ষে ২ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ল্যাবগুলি।
দিল্লি সরকারের নির্দেশ
আইসিএমআরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, নমুনা সংগ্রহ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টেস্ট রিপোর্ট আপলোড করতে হবে। যদিও অতিরিক্ত করোনা টেস্টের চাপের ফলে সেই রিপোর্ট পেতে পেত ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগছে। কোভিড -১৯-এর বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাখতে এবং দেরিতে ফলাফল পাওয়ার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করতে দিল্লি সরকার ১৬ এপ্রিল একটি আদেশ জারি করে জানিয়েছে, 'করোনা বৃদ্ধির ক্রমাগত জেরে জেলা ও সরকারি হাসপাতাসগুলিকে জানানো হচ্ছে যে ল্যাবগুলি যেন নুমনা সংগ্রহের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট প্রকাশ করে।'
গ্রিন করিডর গঠন
টেস্ট রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় রাজধানীতে অক্সিজেনের সরবরাহে ঘাটতি দিল্লিতে আরও এক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। দিল্লি পুলিশ নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে হাসপাতালে অক্সিজেন নির্দিষ্ট সময়ে সরবরাহ হয়ে যাবে। এর জন্য দিল্লি পুলিশ গ্রিন করিডর সৃষ্টি করেছে যাতে খুব সহজে ও তাড়াতাড়ি হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়।
পুলিশের উদ্যোগে অক্সিজেন পৌঁছায় হাসপাতালে
সোমবার রাতেই এ ধরনের অক্সিজেন ভর্তি ট্রাক যানজটে ফেঁসে যায়, এই অক্সিজেনগুলি নয়ডা ও ফরিদাবাদে যাচ্ছিল। দিল্লির বাইরের হাসপাতালে কমপক্ষে ২৩৫ জন রোগীর এই অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা হয়, তবে তা সময়মতো পৌঁছে দেয় পুলিশ। এই দুই ট্রাকে ১৯,৫০০ লিটার অক্সিজেন ছিল। পুলিশ এর মধ্যে চারটে হাসপাতাল থেকে পশ্চিম বিহারের শ্রী বালাজি অ্যাকশন মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে ২৫ সিলিন্ডার অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছিল। পশ্চিম বিহার পূর্ব থানা, যার অধীনে হাসপাতালটি রয়েছে, দুটি এসকর্ট টিম গঠন করে তাদের পৃথক জরুরি প্রতিক্রিয়া যানে গ্রেটার নয়ডা এবং ফরিদাবাদে পাঠানো হয়। এসকর্ট টিমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে ২টি ট্রাকের চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের প্রকৃত লোকেশন খুঁজে বের করা এবং তাঁদের এসকর্ট করে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া। এসকর্ট টিমকে সাইরেন ও লাইট জ্বালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল যাতে অন্য যানবাহনগুলি আপৎকালীন পরিস্থিতি বুঝতে পেরে রাস্তা ছেড়ে দেয়।
দিল্লি পুলিশকে ধন্যবাদ
এদিকে সঞ্জয় গান্ধী, ভগবান মহাবীর, মহারাজা অগ্রসেন এবং জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্টের সহযোগিতায় ২৫ টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শ্রী বালাজি অ্যাকশন হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডাঃ সুনীল সাম্বিল দিল্লি পুলিশের এই প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।
দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দেওয়ার আগেই ভয় ধরাচ্ছে ট্রিপল মিউট্যান্ট, আদৌও আর কাজ করবে করোনা টিকা?