দেশের আইএএস টপার শাহ ফয়জল আটক, কেন্দ্রের জবাব তলব দিল্লি হাইকোর্টের
দেশের আইএএস টপার শাহ ফয়জলকে কেন আটক করা হয়েছিল দিল্লির বিমানবন্দরে, তা জানতে চাওয়া হল কেন্দ্রের কাছে।
দেশের আইএএস টপার শাহ ফয়জলকে কেন আটক করা হয়েছিল দিল্লির বিমানবন্দরে, তা জানতে চাওয়া হল কেন্দ্রের কাছে। সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রের কাছ থেকে এই মর্মে জবাব চেয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ২৩ আগস্ট। উল্লেখ্য, শাহ ফয়জলকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করা হয়।
ফয়জল তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে হাবিয়াস কর্পাসের আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কেন্দ্রের কাছ থেকে জবাব চেয়েছে, কেন গ্রেফতার করা হল দেশের আইএস টপারকে। গত মঙ্গলবার মধ্যবরাতের তিনি ইস্তাম্বুলের একটি ফ্লাইটে দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর তাঁকে আটক করা হয়। এরপর তাঁকে শ্রীনগরে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তাকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন ফয়জল বলেছিলেন যে, তিনি ইস্তাম্বুল থেকে লন্ডনে হয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন আমলা আইএএস টপার জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট পার্টি গড়ে তুলেছিলেন। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে তিনি সমালোচনা করেছিলেন কেন্দ্রের। সেজন্যই এই গ্রেফতারি বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে কাশ্মীরের অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের আটক করা হয়। তার মধ্যে রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিও। এছাড়াও একাধিক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সমাজের বুদ্ধিজীবী মানুষ রয়েছেন। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর জম্মু ও কাশ্মীর বিভাজেনর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আটক করা হয়েছিল তাদের।