For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

দূষণে মুখ ঢেকেছে দিল্লি, জরুরি অবস্থা বলল দিল্লি হাইকোর্ট, বাতিল ট্রেন-বিমান

বায়ু দূষণের জেরে এখন ত্রাহি রব দিল্লিতে। দিনের আলো থাকলেও এখন সেখানে অন্ধকারের তীব্রতা। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে ঘরের বাইরে বের হতে লোকজনকে নিষেধ করা হয়েছে।

Google Oneindia Bengali News

প্রবল বায়ু দূষণে এখন এক ভয়ানক অবস্থায় দিল্লি। গোটা দিন ধরে ঘন কুয়াশার মতো আস্তরণ নেমে এসেছে দিল্লির রাজপথে। দৃশ্যমানতাও নেমে গিয়েছে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই নিচে। দিল্লি সরকার ইতিমধ্যেই সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী করা উচিত এই নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে বৃহস্পতিবার শুনানি হয়।

দূষণে মুখ ঢেকেছে দিল্লি, জরুরি অবস্থা বলল দিল্লি হাইকোর্ট, বাতিল ট্রেন-বিমান

এই শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং সঞ্জীব সচদেবা দিল্লির বায়ুদূষণকে 'জরুরি অবস্থা' বলে ব্যাখ্যা করেন। 'ক্লাউড সিডিং' করে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো যায় কী না তা বিবেচনার জন্যও দিল্লি সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে দুই বিচারপতি-র এই বেঞ্চ। এর ফলে বাতাসে ঘুরে বেড়ানো ধূলিকণা এবং নানা ধরনের অনু ভূস্পৃষ্টে নেমে আসবে বলেই মনে করছে আদালত। যদিও, পরিস্থিতির জন্য দিল্লি সরকারকেই দায়ী করেছে আদালত। এমন দূষণের খপ্পরে যে দিল্লি পড়তে চলেছে তার তথ্য-প্রমাণ কম করেও মাস খানেক আগে জানা গিয়েছিল। তখনই কেন দিল্লির বুকে নির্মানশিল্পের কাজ বন্ধ রাখা হল না, তা নিয়ে দিল্লি সরকারকে প্রশ্ন করে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল।

দিল্লি এবং দিল্লি-এনসিআর-এ যাতে কেউ এখন ময়লা-আবর্জনা না জ্বালায় তার জন্য সমস্ত পুরসভাগুলিকে একটি নজরদারি দল তৈরি করতে বলেছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল। সেইসঙ্গে বাতাসের মান বজায় রাখতে ইপিসিএ-র নির্দেশিকা প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছে। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লি এবং তাঁর সংলগ্ন এলাকায় যাবতীয় নির্মাণ এবং শিল্প নির্মাণের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেওয়া হয়েছে।

দূষণে মুখ ঢেকেছে দিল্লি, জরুরি অবস্থা বলল দিল্লি হাইকোর্ট, বাতিল ট্রেন-বিমান

দিল্লি সরকারকে করা ভর্ৎসনায় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল জানিয়েছে, 'কত লোক দূষণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তা দেখে আসুন।' বায়ু দূষণে দিল্লির যানবাহন চলাচলেও নানা অসুবিধা তৈরি হচ্ছে। ৪১টি ট্রেন দেরিতে চলছে বলে জানা গিয়েছে। ৯টি ট্রেনের সময়সূচির পরিবর্তন হয়েছে। ১০ ট্রেনকে বাতিল করা হয়েছে। বিমান মাঝে-মধ্যে আকাশে উঠলে, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট সময়ের পরে রওনা হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার ১৩ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত যান নিয়ন্ত্রণে 'জোড়-বিজোর' ফর্মূলা লাঘু করছে বলে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যালকে জানিয়েছে।

[আরও পড়ুন:দূষণ ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে ভারতের স্বপ্ন, দেখুন কী অবস্থা সারা বিশ্বের][আরও পড়ুন:দূষণ ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে ভারতের স্বপ্ন, দেখুন কী অবস্থা সারা বিশ্বের]

দিল্লি সরকার সেখানকার বাসিন্দাদের বাইরে না বের হতেই পরামর্শ দিয়েছে। এমনকী, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে নিজস্ব গাড়ি রেখে পুলকার বা বাস-এর সাহায্য নিতে বলছে।

এদিকে, দিল্লির 'গ্যাস চেন্বার' মার্কা পরিস্থিতির জন্য চাষিদের ফসল পোড়ানোকেই দায়ী করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই ফসল পোড়ানোর রীতিকে নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে ফি বছর-ই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বায়ু দূষণে এমনভাবে সাধারণ মানুষের প্রাণ সংশয় হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। কেজরিওয়ালের দাবি, তিনি বিষয়টি নিয়ে পঞ্জাব সরকার ও হরিয়ানা সরকারের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

[আরও পড়ুন:বায়ুদূষণের ফলে প্রতিবছর ভারতে প্রাণ হারান ৫ লক্ষ মানুষ!][আরও পড়ুন:বায়ুদূষণের ফলে প্রতিবছর ভারতে প্রাণ হারান ৫ লক্ষ মানুষ!]

English summary
Air pollution levels in the national capital continued to be severe as dense smog engulfed the city and neighbouring areas
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X