২৫ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন পেলেন কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার
২৫ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারের জামিন মঞ্জুর করল দিল্লী হাইকোর্ট। কর্নাটকের এই শীর্ষস্থানীয় নেতাকে ৫০ দিন আগে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
২৫ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারের জামিন মঞ্জুর করল দিল্লী হাইকোর্ট। কর্নাটকের এই শীর্ষস্থানীয় নেতাকে ৫০ দিন আগে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কালো টাকা পাচারের মামলায় তদন্তকারী সংস্থাটি বেশ কয়েকদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে শিবকুমারকে। তারপর ইডি দাবি করে, তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না শিবকুমার। এরপর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
শিবকুমারের সঙ্গে দেখা করতে তিহারে সনিয়া
এদিকে আজই শিবকুমারের সঙ্গে দেখা করতে তিহার সংশোধনাগারে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট সনিয়া গান্ধী। সেখানে গিয়ে আজ শিবকুমারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আসেন কংগ্রেস সভানেত্রী। পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথাও বলেন তিনি।
এখনও জেলে চিদাম্বরম
এদিকে শিবকুমার জামিন পেয়ে জেল থেকে মুক্তি পেলেও অপর কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম এখনও জেলেই রয়েছেন। আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় দূর্নীতির অভিযোগে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে সেখানেই বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন চিদাম্বরম। গতকাল এই মামলায় সিবিআই-এর দায়ের করা মামলায় জামিন পেলেও এখনও জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। কারণ এই একই মামলায় ইডি-র হাতেও গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেফতারি, দাবি কংগ্রেসের
কংগ্রেস প্রথম থেকেই চিদাম্বরম ও শিবকুমারের গ্রেফতারিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করে এসেছে। এর আগে পি চিদাম্বরমের সঙ্গে দেখা করতেও তিহারে গিয়েছিলেন সনিয়া। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এই দুই শীর্ষ কংগ্রেস নেতার সঙ্গে জেলে গিয়ে দেখা করার মাধ্যমে কার্যত তাঁদের পাশে থাকার বার্তাই দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
শিবকুমারের গ্রেফতারি
২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী শিবকুমারের বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি চালায় তদন্তকারী দল। ইডি-র দাবি তল্লাশি চলাকালীন তাঁর দিল্লী বাড়ি থেকে ৮.৮২ কোটি টাকা টাকা উদ্ধার করা হয়, যার কোনও হিসেব দিতে পারেননি ওই কংগ্রেস নেতা।
এদিকে এই তল্লাশির সময় গুজরাতে রাজ্যসভার ভোটের তোরজোর ছিল তুঙ্গে। গুজরাত কংগ্রেসের ৪৩ জন বিধায়ককে বেঙ্গালুরুর রিসর্টে এনে রেখেছিলেন শিবকুমার। সেখান থেকেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। পরবর্তীতে কর্নাটকে বিজেপির বিকল্প হিসেবে এইচডি কুমারস্বামীর সরকার গড়ার পিছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন শিবকুমার। কুমারস্বামী সরকারকে সঙ্কট থেকে বাঁচাতে কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়কদের ফের দলে টানার জন্য মুম্বইতেও পৌঁছেছিলেন তিনি।
কাশ্মীর থেকে নিশ্চিহ্ন জঙ্গি শিবির আলকায়দা, সদর্পে জানিয়ে দিল উপত্যকার পুলিশ