
Air India বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বনাম মোদী সরকার যুদ্ধ বেশ কিছুদিন পুরনো৷ একদা মোদী সরকারের প্রশংসক এই বিজেপি সাংসদ সম্প্রতি অর্থনীতি থেকে প্রতিরক্ষা সবকিছুতেই মোদী সরকারকে কার্যত ধুয়ে দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি ভারতের বিমান পরিসেবা এয়ার ইন্ডিয়াকে সম্পূর্ণ সরকারি বিনিয়োগ থেকে সরিয়ে টাটা গ্রুপের হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্র৷ এয়ার ইন্ডিয়ার এই বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বৃহস্পতিবার তাঁর এই আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট।

কোথায় আপত্তি ছিল স্বামীর?
দিল্লি হাইকোর্ট আবেদনে স্বামী জানিয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকা প্রক্রিয়া স্বচ্ছাত নেই৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আবেদন খারিজ করে দিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে যে কেন্দ্রের এই নীতিগত সিদ্ধান্ত কোনো বেআইনি এবং স্বেচ্ছাচারীতার মতো বিষয় নেই! নানা স্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে স্বচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করেই এয়ার ইন্ডিয়া বেসরকারিকরণের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্র। এয়ার ইন্ডিয়ায় বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য আবেদন পত্র গ্রহণ প্রক্রিয়া প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল জুন ২০১৭ সালে। টাটা সন্স প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকানায়া থাকা একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ট্যালেস প্রাইভেট লিমিটেড গত বছর সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে এয়ার ইন্ডিয়ায় বিনিয়োগের জন্য আবেদন করেছিল৷

কেন কোর্টের পথে স্বামী?
এরপরই বেসরকারীকরণের পুরো প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন সসুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর যুক্তি ছিল যে ইতিমধ্যেই এয়ারএশিয়ার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত চলছে। এয়ারএশিয়ার শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে একটি হল এয়ারএশিয়া ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ট্যালেসের উপর যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। স্বামী আরও দাবি করেছিলেন যে এয়ার ইন্ডিয়ার বিডিং প্রক্রিয়াটি স্পাইসজেটকে সরিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া অধিগ্রহণে ট্যালেসকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

কী বলছে কোর্ট?
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল এবং বিচারপতি জ্যোতি সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে ২০১৩ সালে মাদ্রাজ কোর্টে স্বামীর দায়ের করা পিটিশনেও ট্যালেস কিংবা টাটা সন্সের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলার অভিঢ়োগ নেই৷ ট্যালেস টাটা সন্সের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহযোগী সংস্থা। ট্যালেস এবং টাটা সন্স উভয়ই ভারতীয় সংস্থা, তাই এয়ারইনৃডিয়া বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ নীতি লঙ্ঘনের প্রশ্নই ওঠে না। তাছাড়া এয়ারএশিয়া (ভারতীয় শাখা) প্রাইভেট লিমিটেডের, ট্যালেস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতি কোন আগ্রহ নেই।