নির্ভয়াকে ধর্ষণের সময় নাবালক ছিল পবন, পুর্নবিবেচনার আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে
নির্ভয়াকে ধর্ষণের সময় নাবালক ছিল পবন, পুর্নবিবেচনার আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে
মৃত্যুভয় এবার গ্রাস করতে শুরু করেছে নির্ভয়ার সাজাপ্রাপ্তদের। এক–এক করে আদালতে আবেদন করতে শুরু করেছে তারা। অক্ষয় কুমারের পর এবার আরও এক সাজাপ্রাপ্ত নিজেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। তার আবেদনে বলা ছিল যে ২০১২ সালে সে যখন তার আরও পাঁচ সঙ্গীর সঙ্গে প্যারমেডিক্যালের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে, তখন সে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল। যদিও নির্ভয়ার ওই দোষীর দাবি গ্রাহ্য করেনি হাইকোর্ট এবং তার আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
আসামি পবন গুপ্তার আবেদন হাইকোর্টেই বাতিল হয়ে যায় এবং তা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ পায় না। এছাড়াও আদালতে বারবার ডাকা সত্ত্বেও আসামির আইনজীবী হাজির হতে না পারায় আদালত তাঁকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয়। এর আগে নির্ভয়ার আর এক আসামিও সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যদণ্ড রদের আবেদন করেছিল, কিন্তু শীর্ষ আদালত তা খারিজ করে দেয়। নির্ভয়ার ছ’জন দোষীর মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড আসন্ন। এই ছ’জনের মধ্যে একজন জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করেন এবং অন্য একজনকে জুভেনাইল হোমে রাখার তিনবছর পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট নির্ভয়া আসামি অক্ষয় কুমারের পুর্নবিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেয়। আবেদনে আসামি জানিয়েছিল যে দিল্লিতে যেভাবে বায়ু ও জল দূ্ষণ বাড়ছে তাতে এমনিতেই কম আয়ুর জীবন তাই মৃত্যদণ্ড দেওয়া অর্থহীন। সলিসিটার তুষার মেহতা বুধবারই জানান যে দোষীরা ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে যাতে মৃত্যদণ্ডের শাস্তি দিতে দেরি হয়। অন্যদিকে আসামিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড পরোয়ানা জারির বিষয়টি ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে পাতিয়ালা হাউস আদালত।
নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের প্রতিবাদে ফ্রন্ট মহারাষ্ট্রে, 'মিত্র’দের থেকে তফাতে শিবসেনা