'পুরুষে'-র ধর্ষণ সম্ভব, কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি চাইল দিল্লি হাইকোর্ট
পুরুষদেরও কী ধর্ষণ হতে পারে না, দিল্লি হাইকোর্ট এই প্রশ্ন করল কেন্দ্রকে
লিঙ্গ ভিত্তিক নিয়ম নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে জমা পড়া এক পিটিশনের ভিত্তিতে দিল্লি হাইকোর্ট এক বড় প্রশ্ন তুলে দিল। দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি চাইল। ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের ধারায় কী করে লিঙ্গবৈষম্যমূলক সাজা থাকে তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।
কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল এবং বিচারপতি হরিশংকর এই বিষয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে ৩ সপ্তাহের সময় দিয়েছে। ২৩ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। একজন মানবাধিকার কর্মী সঞ্জীব কুমার যে পিটিশন ফাইল করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, 'বর্তমান আইন ধারায় আইপিসি ৩৭৫ এবং আইপিসি ৩৭৬ লিঙ্গভিত্তিক ধারা। এতে পুরুষদের অধিকার রক্ষিত হয় না, ফলে ভারতীয় সংবিধানের সবার সমান অধিকারের তত্বকেও তা মিথ্যা করে দেয়। '
তিনি আরও বলেছেন সাম্প্রতিক অ্যাপেক্স কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ি প্রতিটা মহিলা ও পুরুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার আছে। তাহলে কী করে শুধুমাত্র মহিলাদের ক্ষেত্রেই কোনও অপরাধ গন্য হতে পারে। তিনি তাঁর পিটিশনে দাবি জানিয়েছেন, 'একজন ধর্ষিত হলে সে পুরুষ বা নারী তাতে পার্থক্য করা উচিত নয়। একজন পুরুষেরও অধিকার আছে নিজেকে এই পরিস্থিতিতে রক্ষা করার। পৃথিবীর ৬৩টি দেশে এরকম লিঙ্গবৈষম্যহীণ শাস্তির ধারা রয়েছে। '
এই পিটিশনে সাম্প্রতিক রায়ান ইন্টারন্যাশানাল স্কুলের ছাত্রকে শারীরিক নিগ্রহ ও তাতে বাধা দেওয়ায় তাকে খুন করার প্রসঙ্গেরও উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই পিটিশনে এও বলা হয়েছে, 'একজন পুরুষ যদি অভিযোগ করেন একজন মহিলা তাঁকে ধর্ষণ করেছেন, তাহলে সমাজ সেই পুরুষের পৌরুষ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এবং বলে একজন পুরুষ একজন মহিলার থেকে অনেক বেশী শক্তিশালী।'