দিল্লি গণধর্ষণ: দুই অপরাধীর ফাঁসির সাজায় স্থগিতাদেশ
২০১২ সালের ডিসেম্বরে দিল্লিতে চলন্ত বাসের ভিতর গণধর্ষণ করা হয় ২৩ বছরের তরুণী নির্ভয়াকে। তাঁর সঙ্গীকে বেধড়ক মারা হয়। তার পর দু'জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয় চলন্ত বাস থেকে। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিক্রিয়া হয়। পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। এরা হল বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর, মুকেশ, পবন ও রাম সিং। সঙ্গে এক নাবালককেও ধরেছিল পুলিশ। নাবালক হওয়ায় জুভেনাইল আদালতে তার বিচার হয় এবং তিন বছরের জেল হয়। পুলিশি হেফাজতে থাকার সময় ২০১৩ সালের ১১ মার্চ তিহার জেলে মারা যায় রাম সিং। বাকি চারজন অর্থাৎ বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর, মুকেশ ও পবনকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ফাঁসির সাজা দেয় নিম্ন আদালত। দিল্লি হাই কোর্টও এদের সাজা বহাল রাখে। শেষ পর্যন্ত বিনয় শর্মা ও অক্ষয় ঠাকুর শীর্ষ আদালতে আবেদন করে। তারই ভিত্তিতে এদের ফাঁসির সাজার ওপর সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। বাকিদের ক্ষেত্রে অবশ্য এমন কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি।
স্থগিতাদেশের খবর শোনার পর নির্ভয়ার পরিবার জানিয়েছে, এটা হতাশাজনক খবর। তবে শেষ পর্যন্ত ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহৃত হবে ও অপরাধীরা তাদের চরম সাজা পাবে, এই আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন নির্ভয়ার বাবা। একই আশা ব্যক্ত করেছে বিভিন্ন নারী সংগঠনও।