২০২০-এ দিল্লিতে বিজেপির জয়জয়কার হতে পারে লোকসভা ভোট যদি হত! কী বলছে পরিসংখ্যান অঙ্ক
দিল্লি নির্বাচনের প্রচার পর্ব আপাতত মধ্যগগনে। সেখানে আপ বনাম বিজেপির প্রচার যুদ্ধ যতটা তুঙ্গে ততটাই একের পর একসবিতর্ক উস্কে যাচ্ছে। তবে, এরই মধ্যে রাজনৈতিক ময়দানে উস্কে যাচ্ছে ভোট ব্য়াঙ্ক থেকে ভোট-অঙ্কের হিসাব। তারমধ্যে দেখা যাচ্ছে, দিল্লি নির্বাচনে আপের দিকে ঝুঁকে রয়েছে পাল্লা, অন্যদিকে, আজই যদি দিল্লিতে লোকসভা নির্বাচন হত, তাহলে বিজেপির পরিস্থিতি কী হত , তা নিয়ে রয়েছে সমীক্ষার ফলাফল। টাইমস নাওয়ের সমীক্ষা এ বিষয়ে কী বলছে, দেখে নেওয়া যাক।
লোকসভা ভোট আজই হলে কতটা প্রভাব পড়ত দিল্লি নির্বাচনে?
বিধানসভা
ভোটে
৭০
টি
আসনের
মধ্যে
বিজেপি
আসন্ন
দিল্লি
নির্বাচনে
১০
থেকে
১৪
টি
আসন
পেতে
পারে
বলে
মনে
করছে
টাইমস
নাও
ইপসোসের
সমীক্ষা।
সমীক্ষা
বলছে,
লোকসভা
ভোট
এখন
হলে,
বিজেপি
পেতে
পারত
৪৬
শতাংশ
ভোট।
অন্যদিকে,
আপ
পেতে
পারে
৩৮
শতাংশ
ভোট।
কেন এমন ভোটিং ট্রেন্ড?
টাইমস
নাওয়ের
সমীক্ষা
বলছে,
বিজেপির
থেকে
আপের
ভোটের
কমতিও
লোকসভা
ভোট
এখন
হলে
মাইলেজ
দিতে
পারত
বিজেপিকে।
আর
এর
নেপথ্যে
পের
মোদী
সুনামীই
দেখা
যাচ্ছে।
পরিসংখ্যান
বলছে
২০১৯
সালের
মতোই,
মোদী
সুনামী
এখনও
পর্যন্ত
প্রবলভাবে
প্রকট
ভারতে।
আর
তার
জেরেই
দিল্লিতে
এখন
লোকসভা
ভোট
হলে
বৈতরণী
পার
করতে
পারত
মোদী
শিবির।
গেরুয়া ঝড়ে দিল্লি উত্তাল হতে পারত?
টাইমসের সমীক্ষা বলছে, নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিত্বের দাপট লোকসভা ভোট ২০১৯ সালে যেমন ছিল দিল্লিতে এখনও ভোট হলে সেরকমই থাকত। প্রধানমনন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মোদীকে অনেকে পছন্দ করলেও দিল্লি ভোটে বিজেপিকে খুব একটা পছন্দ নয় নাগরিকদের। তেমনই দাবি সমীক্ষার।
শাহিনবাগ ফ্যাক্টর ও বিজেপি
বিজেপির
অন্তর্বতী
সমীক্ষা
কয়েকদিন
আগেই
দাবি
করেছিল
যে,
শাহিনবাদে
সিএএ
বিরোধী
বা
মোদী
বিরোধী
যে
হাওয়া
তৈরি
হয়েছিল
,
তা
এবার
মুহূর্তে
কেটে
যেতে
চলেছে।
শাহিনবাগ
দিল্লি
নির্বাচনে
বিজেপির
ভোট
ব্যাঙ্কে
প্রভাব
ফলবে
না
বলে
গেরুয়া
শিবিরের
অন্তবর্তী
রিপোর্ট
দাবি
করে।
আর
এমন
প্রেক্ষাপটে
সমীক্ষায়
উঠে
আসে
একাধিক
তথ্য।
সিএএ থেকে শাহিনবাগ ফ্যাক্টর নিয়ে কোন দাবি সমীক্ষার?
সিএএ থেকে শাহিনবাগ প্রসঙ্গ নিয়ে টাইমস নাওয়ের সমীক্ষায় একের পর এক তথ্য ইপসোসের সমীক্ষায় উঠে আসতে শুরু করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ৭১ শতাংশ মানুষ মনে করছে সিএএ নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ৫২ শতাংশ মানুষ মনে করছে শাহিনবাগে যা চলছে তা সঠিক নয়। আর সমীক্ষায় ২৫ শতাংশ মানুষ মনে করছেন যে শাহিনবাগে যা চলছে তা সঠিক।
দিল্লির রাজনৈতিক হাওয়া ও বিজেপি
দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর তখতে মোদী বসতেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের একটা বড় ভোট ব্যাঙ্কের সাপেক্ষে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পদক্ষেপ যেমন প্রাসঙ্গিক হতে পারে, তেমনই সিএএ বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে কালো মেঘ সঞ্চার করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সমস্ত প্রশ্নের জবাব মিলতে চলেছে আগামী ১১ফেব্রুয়ারি।