২০২০ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন:বিজেপিকে দুরমুশ করে কেজরিওয়ালের ঝড় আসন্ন! সমীক্ষায় কী পরিসংখ্যান
চলতি সপ্তাহের শেষেই রাজধানী দিল্লি নির্ধারণ করে ফেলবে , সেখানের তখতে বাসিন্দারা কাকে দেখতে চান। দিল্লি নির্বাচনের দামামা বাজতেই বিজেপির অমিত শাহ বলেছিলেন 'এই নির্বাচন কেজরিওয়াল বনাম মোদীর লড়াই'। যে মোদী সুনামিতে ভর করে লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে স্বস্তিজনক ফল করেছিল বিজেপি সেই মোদী সুনামি সিএএ, এনপিআর, এআরসি ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি পরবর্তী পর্যায়ে সুষ্ঠু থাকবে কি না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। আর এরই মাঝে উঠে আসছে আপ সরকারের আমলে দিল্লিতে একের পর এক উন্নয়ন খতিয়ান। আর এমন পরিস্থিতিতে উঠে এল টাইমস নাও এর ভোট পূর্ববর্তী সমীক্ষা।
আপ ও রাজনৈতিক ফ্যাক্টর
দিল্লি নির্বাচনের প্রচারের শুরুতেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন যে উন্নয়নের খতিয়ানের ভিত্তিতেই এই ভোট হবে। আর মানুষ আপকে ভোট দেবে 'কাজের' জন্য। এরপরই দিল্লি জ্বলে উঠতে থাকে সিএএ বিরোধী তথা মোদী বিরোধী বিক্ষোভে। এমন পরিস্থিতিতে মাইলেজ পেয়ে যায় আপ। বিজেপি নেতাদের কট্টর কটাক্ষও খানিকটা 'বেনিফিট' এ রেখেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলকে।
কেজরি শিবির ও তৃণমূলের সমর্থন
গেরুয়া শিবিরের বহু বিতর্কিত মন্তব্য কেজরিওয়াল শিবিরের হাত শক্ত করছে বলে মনে করছেন অনেকেই। আর এরই মধ্যে গত ৫ বছরে দিল্লিতে কী কী উন্নয়ন কেজরিওয়াল সরকার করেছে তাকে সামনে রেখে প্রচার জোরদার যেমন করছে কেজরি শিবির , তেমনই মহিলা উন্নয়ন থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা ঘিরে একাধিক ইস্যু প্রাথমিক ইস্তেহারে রেখেছে আপ। যা ভোটারদের কাছে 'চমক' দেওয়ার জন্য কার্যকরী। অন্যদিকে, এলাকার বাইরে হলেও, কেজরি শিবিরের সঙ্গে যে তৃণমূল রয়েছে , তা স্পষ্ট করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান। সেটিও একটি ফ্যাক্টর হিসাবে উঠে আসতে পারে বলে অনেকের মত। কারণ দিল্লি জুড়ে রয়েছেন বহু বাঙালি। সেক্ষেত্রে বাঙালি দলের সমর্থন একটি বড় বিষয়।
সমীক্ষা কী বলছে আপকে নিয়ে?
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। ফলাফল ঘোষিত হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। তবে টাইমস নাওয়ের সমীক্ষা বলছে, সেদিন 'আপ' ই শেষ হাসি হাসতে চলেছে। সমীক্ষার দাবি, ৭০ আসনের দিল্লি নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল পেতে চলেছে ৫৪ থেকে ৬০ টি আসন। ফলে এবারেও কেজরিওয়াল যে শেষ হাসি হাসতে চলেছেন,তা আবারও স্পষ্ট করল টাইমসের সমীক্ষা।
বিজেপি কতগুলি আসন পেতে চলেছে?
টাইমস নাওয়ের সমীক্ষা বলছে, বিজেপি ৭০ টির মধ্যে পেতে পারে মাত্র ১০ থেকে ১৪ টি আসন। লোকসভার থেকে এই আসন সংখ্যার বৈপরীত্য খানিকটা চোখে পড়ার মতো হলেও, তা অত্যন্ত বড় ফ্য়াক্টর হতে পারে বিজেপি শিবিরের জন্য। ইপসোস এর সমীক্ষা বলছে, বিজেপির ৩৪ শতাংশ ভোট শেয়ারের প্রেক্ষিতে আপ পেয়েছে ৩৪ শতাংশ ভোট শেয়ার। ফলে গেরুয়া শিবিরের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান মোটেও আশা ব্যাঞ্জক নয়।
ভোট শেয়ার ঘিরে অঙ্ক
সমীক্ষার
পরিসংখ্যান
বলছে,
২০১৫
সালের
ভোটের
থেকে
এই
বছরের
ভোটের
ভোট
শেয়ারের
ক্ষেত্রে
খানিকটা
তারতম্য
দেখা
যাবে।
২০১৫
সালে
আপ
হারিয়েছিল
২.৫
শতাংশ
ভোটকে।
আর
বিজেপির
ভোট
বেড়েছিল
১.৭
শতাংশ।
তবে
এবারের
মেরুকরণের
ভোট
ময়দানে
বিজেপির
দখলে
৩৪
শতাংশ
ভোট
শেয়ার।
অন্যদিকে,
৫২
শতাংশে
রয়েছে
আপ।
মাঝে
রয়েছে
১৮
পয়েন্টের
লিডের
পার্থক্য।
যা
রাজনীতির
ময়দানে
বড়
অঙ্ক
বলে
মনে
করছেন
অনেকে।