অগ্নিপথের প্রতিবাদে ভারত বনধ, দিল্লি পুলিশের অতি তৎপরতা, চেকিংয়ের জেরে যানজটে অবরুদ্ধ রাজধানী
অগ্নিপথের প্রতিবাদে ভারত বনধ, দিল্লি পুলিশের অতি তৎপরতা, চেকিংয়ের জেরে যানজটে অবরুদ্ধ রাজধানী
অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে ভারত-বনধের ডাক দিয়েছে একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন। তার প্রভাব পড়ল রাজধানী দিল্লিতে। সকাল থেকেই সড়ক আটকে চেকিং শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। তার জেরে যানজটে জেরবার অবস্থা দিল্লিবাসীর। দিল্লি-গুরুগ্রাম এক্সপ্রেস ওয়ে অবরোধের জেরে থমকে গিয়েছে যানচলাচল। রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি গাড়ি। রোদে গরমে জেরবার অবস্থা।
অগ্নিপথের প্রতিবাদে ভারত বনধ
অগ্নিপথ আন্দোলনের প্রতিবাদে আজ ভারত বনধের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। তাতে সমর্থন জানিয়েছে বামেরাও। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সব রাজ্যেই প্রায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগে থেকে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। বিহারে সব ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে। স্টেশনগুলিতে জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা। কারণ গত তিন দিনের অগ্নিপথ বিরোধী আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার আগুন ছড়িয়েছিল বিহার, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং তেলঙ্গানায়। এই সব রাজ্যগুলিই তাই ভারত বনধ মোবািবলায় জন্য তাৎপর হয়ে উঠেছে।
অবরুদ্ধ রাজধানী
অগ্নিপথ বিরোধী ভারত বনধে অশান্তি ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় দিল্লি পুলিশ রাজধানী গামী সব রাস্তাতেই চেকিং শুরু করেছে। দিল্লি-গুরুগ্রাম এক্সপ্রেস ওয়েছে সকাল থেকেই চলছে নাকা চেকিং। তার জেরে যাকে বলে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে সড়ক। এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে সারি সারি গাড়ির লাইন। এক ইঞ্চি নড়ছে না গাড়ি। চেকিংয়ের জেরে হয়রানির শিকার অসংখ্য মানুষ। অনেকেই সপ্তাহের প্রথম দিনে কাজ নিয়ে বেরিয়েছেন। তাঁরা চেকিংয়ের জেরে আটকে গিয়েছেন রাস্তাতেই কখন যানজট মুক্ত হবে রাস্তা তা বোঝা যাচ্ছে না।
নয়ডায় জারি ১৪৪ ধারা
এদিকে নয়ডায় ভারত বনধের অশান্তি এড়াতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। দিল্লি সংলগ্ন সব রাস্তাতেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজস্থানের জয়পুরেও জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বিহারের ২৪টি েজলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী কোনও ভাবেই যাতে বনধ সমর্থকরা তাণ্ডব চালাতে না পারে তার সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেছে সব রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বিহারে গ্রেফতার করা হয়েছে ৮০০ জনকে। আর উত্তর প্রদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে সাড়ে তিনশো জনকে।
বাতিল একাধিক ট্রেন
অগ্নিপথ আন্দোলনের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রেন পরিষেবা। একাধিক স্টেশনে ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী ট্রেনেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তারপরেই সতর্ক রেল। বনধের দিন ৪০০টির উপরে ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বিহারে সম্পর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন পরিষেবা। শিয়ালদহ -দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। গত তিন দিনের অগ্নিপথ আন্দোলনের জেরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। সেকারণে এবার আগে থেকেই সতর্ক রেল।
প্রকাশিত অগ্নিবীর নিয়োগের সময়সূচী, কবে থেকে করা যাবে রেজিস্ট্রেশন? জেনে নিন