বাপের বাড়িতে থাকলেও স্ত্রীর ভরণপোষনের দিতে হবে স্বামীকে, নির্দেশ দিল্লি কোর্টের
বাপের বাড়িতে থাকলেও স্ত্রীর ভরণপোষনের দিতে হবে স্বামীকে, নির্দেশ দিল্লি কোর্টের
আলাদা থাকলেও স্ত্রীর ভরণপোষণের সব দায়িত্ব স্বামীর। দিল্লি আদালত আজ একটি মামলার প্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে। স্ত্রী স্বামী বিচ্ছিন্না হয়ে বাপের বাড়িতে থাকলেও তাঁর খরচ খরচা দিতে হবে স্বামীকেই। স্বামীর কাছ থেকে ভরণ পোষণের খরচ দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দাবি করেন িতনি শিক্ষিতা নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে পারেন কাজেই তাঁর ভরণ পোষণের খরচ তাঁরা দেবেন না। তারপরেই আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা।
এই মামলার পর্যবেক্ষণে আদালত জানিয়েছেন একজন মহিলা শিক্ষিতা এবং উচ্চ ডিগ্রি সম্পন্ন হলেও তাঁকে পরিবারের দেখাশোনার জন্য কাজ বা চাকরি করতে দেওয়া হয় না। এবং পরিবারের তরফ থেকেও সেটাই দাবি করা হয়ে থাকে। তাহলে তাঁর ভরণপোষণের দায়িত্ব কেন নেবেন না স্বামী। দিল্লির দায়রা আদলতের বিচারক মনিকা সারোহা জানিয়েছেন, স্বামীর রোজগারের উপর অধিকার রয়েছে স্ত্রীর। এটা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
গৃহ হিংসার ১২নং ধারায় এক মহিলা আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন। তাতে তিনি অভিযোগ করেছিলেন তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মারধর করার ভয় দেখাচ্ছে। সেকারণে তিনি বাপের বাড়িতে এসে রয়েছেন সন্তানদের নিয়ে। কিন্তু তাঁর স্বামী তাঁকে কোনও খরচ দিচ্ছেন না। স্বামী এবং তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আদালতকে জানিয়েছে তাঁর পরিবারের বধূ যথেষ্ট শিক্ষিতা। তাঁর কাছে এমএ ডিগ্রি রয়েছে। াজেই নিজের দায়িত্ব তিনি নিজে নিতে পারেন।
Goa election 2022: প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপি, বাদ গেল পরিকরের ছেলেন নাম
সেই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে এক মধ্যবয়সী মহিলা যাঁর তিন সন্তান রয়েছে তাঁকে উচ্ছ শিক্ষিত হঠাৎ করে দাবি করে তাঁর ভরণ পোষণের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না স্বামী। সমাজে একাধিক মেয়ে উচ্চ শিক্ষিত হয়েও পরিবারের দেখাশোনার স্বার্থে চাকরি করতে পারেন না। কাজেই এক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে এবং স্ত্রীকে ভরণপোষণের খরচ দিতে বাধ্য থাকবেন তাঁর স্বামী। পাল্টা শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যেহেতু মহিলা নিজের বাপের বাড়িতে রয়েছেন সেহেতু তাকে বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুতের বিল, জলের বিল দিতে হচ্ছে না তাহলে কেন ভরণপোষণের খরচ লাগবে। তার জবাবে বিচারক জানিয়েছেন স্ত্রী বাপের বাড়িেত থাকলেও তাঁর দৈননন্দিবন খরচের টাকা দিতে হবে স্বামীকে। জামাকাপড়, প্রসাধনী থেকে শুরু করে জামাকাপড় সবকিছুর যোগান স্বামীকে দিতে হবে। আদালতে মহিলা জানিয়েছে ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে বাইরে চাকরি করতে দেননি।