নির্ভয়াকাণ্ডে নতুন মৃত্যু পরোয়ানা জারি! ফাঁসির দিনক্ষণ ঘোষণা দিল্লি হাইকোর্টের
নির্ভয়া কাণ্ডে দোষীদের নতুন করে ফাঁসির দিন ধার্য করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই আজ রায় দিয়ে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট জানিয়ে দিল যে মার্চ মাসের ৩ তারিখ সকাল ৬টার সময় দিল্লির তিহার জেলে কার্যকর করা হবে দোষীদের ফাঁসি। এর আগে ছয় জন দোষীদের মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ডের দিন বারবার পিছিয়ে যাচ্ছিল। তার কারণ বারবার দোষীরা আইনের পথে আবেদন জানিয়ে নিজেদের জন্য সময় বাড়াচ্ছিল।
ফাঁসির নতুন দিন চেয়ে আবেদন করেন নির্ভয়ার মা-বাবা
এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি পাতিয়ালা হাউস কোর্টে ফাঁসির নতুন দিন চেয়ে আবেদন করেন নির্ভয়ার মা-বাবা। তাঁরা জানিয়েছেন যে সাজাপ্রাপ্তরা আইনের সঙ্গে বিদ্রুপ করছে। আদালতের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করা হয়। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টে চার সাজাপ্রাপ্তের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত না করার জন্য কেন্দ্র আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়।
৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ড স্থগিত হয় মুকেশ কুমার সিং, পবন, বিনয় ও অক্ষয়ের
এর আগে ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করে বলা হয় যে পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত ফাঁসি হবে না মুকেশ কুমার সিং, পবন, বিনয় ও অক্ষয়ের। যারা এখন তিহার জেলে রয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের দিন প্রথমে ২২ জানুয়ারি ঠিক হলেও তা পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ছয়টার সময় নির্ধারিত হয়। প্রথমে ৭ জানুয়ারি মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয় কিন্তু তা ১৭ জানুয়ারি স্থগিত করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পরোয়ানা জারি হয় ১৭ জানুয়ারি, ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসির জন্য কিন্তু ৩১ জানুয়ারি সেটাও স্থগিত হয়ে যায়।
আইনি ফাঁসে পিছিয়ে যাচ্ছিল ফাঁসির দিনক্ষণ
একের পর এক আবেদন, পুনর্বিবেচনার আর্জির জেরে নির্ভয়ার চার দোষীর ফাঁসির সাজা কার্যকর করতে দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নির্ভয়ার পরিবার। একাধিক বার বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘ সূত্রতা নিয়ে অভিযোগ করেছেন দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবার।
সাত বছরেও সাজা কার্যকর হল না
২০১২ সালে ডিসেম্বরে দিল্লিতে চলন্ত বাসের মধ্যে মেডিক্যাল ছাত্রীকে ছ'জন মিলে গণধর্ষণ করে, সঙ্গে চলে পাশবিক অত্যাচার। সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্ভয়ার। এরপরই গোটা দেশ সরব হয়, ছয় জন অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা দাবি করে। প্রায় সাত বছর পর দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা হলেও তা আইনি পদ্ধতিতে ফেঁসে কার্যকর হচ্ছে না।