অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চান অরবিন্দ কেজরিওয়াল
দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ এই বিষয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি দিল্লির আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে খুবই চিন্তিত। আমি চাই অবিলম্বে জাতীয় রাজধানীতে শান্তি ফিরে আসুক। এই কারণে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি।'
জামিয়া মিলিয়ায় পুলিশ
প্রসঙ্গত, রবিবার বিকেল ও সন্ধ্যা নাগাদ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ছাত্ররা। সদ্য পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র-ছাত্রীরা। এই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ে দিল্লি পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠি চার্জ করে। তার আগে সরাই জুলেইনা ও মথুরা রোডে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
রাজনৈতিক তরজা
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে দোষারপ করতে শুরু করে। বিজেপির তরফে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় আআপ বিধায়ক আমানাতুল্লাহকে। এদিকে আআপও দাবি করে যে এই আগুন লাগার পিছনে দোষী বিজেপি।
পুলিশের দিকে আঙুল
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে এই নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সিপিআই সাংসদ ডি রাজা। আদালতে যআওয়ার কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদও। বেশ কিছু ভাইরাল ভিডিওয় উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের উপরে পুলিশের মারধরের কিছু দৃশ্য। যদিও সেই ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এই উত্তেজনার জেরে সোমবার সন্ধ্যা থেকে প্রগতি ময়দান, দিল্লি গেট, আইটিও এবং আইআইটি মেট্রো স্টেশনের ঢোকা ও বেরোনোর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পুলিশকে দোষারপ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের
দক্ষিণ দিল্লির বিক্ষোভে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্ররা যুক্ত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ওয়াসিম আহমেদ খান এই প্রসঙ্গে বলেন, 'পুলিশ বাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমাদের কর্মী এবং ছাত্রদের মারধর করা হচ্ছে। তাদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।'
নাগরিকত্ব নিয়ে বিক্ষোভ, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ক্ষতি কয়েক কোটি টাকার