মোদী-বিরোধী জোটের ‘প্রদীপ’ নিভিয়ে দিলেন কেজরি, আপ-হীন ছন্নছাড়া মমতা-রাহুলরা
সবেমাত্র মোদী বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজটা শুরু হয়েছিল। প্রদীপ জ্বালানোর আগেই তা নিভিয়ে দিল এক বিরোধী। বিরোধী ঐক্যের পথ থেকে পাকাপাকি সরে দাঁড়াল আপ শিবির।
সবেমাত্র মোদী বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজটা শুরু হয়েছিল। প্রদীপ জ্বালানোর আগেই তা নিভিয়ে দিল এক বিরোধী। বিরোধী ঐক্যের পথ থেকে পাকাপাকি সরে দাঁড়াল আপ শিবির। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোটদানে বিরত ছিলেন। তারপরই পাকাপাকি এককভাবে লোকসভায় লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল আম আদমি পার্টি।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কর্ণাটক নির্বাচনের পর থেকেই বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার ব্যাপারে নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোচ্ছিলেন। সাফল্যও আসছিল। হঠাৎ তাল কেটে গেল। রাজ্যসভায় বিজেপি-জোটকে হারিয়ে আসন্ন লোকসভায় সার্বিক ঐক্যের বার্তা দেবেন বলে অঙ্ক কষে রেখেছিলেন রাহুল গান্ধী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। কিন্তু সেই ঐক্যের সুর কেটে গেল মোদী বিরোধিতা থেকে আপ হাত তুলে নেওয়ায়।
আপের সাংসদরা রাজ্যসভায় ভোটদানেও বিরত ছিলেন, তারপর আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়ে দিলেন, তারা লোকসভায় বিরোধী জোটে থাকবেন না। তাঁরা এককভাবেই লোকসভায় লড়বেন। এবং হরিয়ানা বিধানসভা ভোটেও তাঁরা এককভাবেই লড়বেন। ঐক্য গড়ে ওঠার আগেই এই 'বন্ধু বিচ্ছেদে' প্রবল চাপে রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মোদী-বিরোধী মঞ্চের তথাকথিত নেতারা।
[আরও পড়ুন : শরিকি সিদ্ধান্তে অশনি সংকেত! রাজ্যসভার নির্বাচনে কোন দিকে কারা, একনজরে]
এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি মোদী বিরোধিতায় সামনের সারিতেই ছিলেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই তিনিই সটান ইউ-টার্ন নিলেন। এবং জানিয়ে দিলেন, তাঁর দল মোদী বিরোধী জোটে সামিলই হবেন না। তিনি এককভাবে লড়বেন লোকসভায়।
বর্তমানে এনআরসি, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, নারী নিরাপত্তা-সহ আরও একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে বিরোধীরা শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। আর সেই ঐক্যকে পুরো ঘেঁটে দিলেন আপ প্রধান। তিনি বিজেপি বিরোধিতা থেকে পিছু হটে জানিয়ে দিলেন, ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে যে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, তাতে তাঁরা থাকছেন না। বিরোধী জোটে না থাকার কারণ হিসেবে কেজরিওয়ালের যুক্তি, দেশের উন্নয়নে কোনও রূপরেখা নেই বিরোধী জোটের।
[আর পড়ুন : ইন্দিরার পর মহিলা প্রধানমন্ত্রী হোন মমতা, রাহুলের পর দেবেগৌড়ারও সমর্থন-বার্তা]
তিনি এদিন স্পষ্ট করে দেন, হরিয়ানা বিধানসভায় প্রত্যেকটি আসনে প্রার্থী দেবে আম আদমি পার্টি। লোকসভা নির্বাচনেও তাঁরা একলা চলো নীতি নিয়ে চলবে। অর্থাৎ এই ঘোষণার পর প্রাক নির্বাচনী কোনও জোটে যে তারা থাকবে না, তা পরিষ্কার হয়ে গেল। ফলে রাজধানীতে ত্রিমুখী লড়াই আসন্ন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেন, দিল্লি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন করেছে, হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টরের হরিয়ানা। সেই নিরিখেই প্রচারে ঝড় তুলবে তারা। এদিন বিরোধী জোটের মঞ্চ থেকে সরে এলেও নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, কেন্দ্রের মোদী সরকার দিল্লির উন্নয়ন আটকেরেখেছে। তাই উন্নয়নের অনেক কাজ বাকি। আপ সরকার দিল্লির উন্নয়নের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে।
[আর পড়ুন : তেজস্বীর মঞ্চে বিরোধী ঐক্যে নেতৃত্ব রাহুলের! দিল্লির যন্তরমন্তরে ফের মহাজোট-শো]