টিকা বানানোর ফর্মুলা সর্বজনীন করুক কেন্দ্র, আকাল মেটাতে পরামর্শ কেজরির
টিকা বানানোর ফর্মুলা সর্বজনীন করুক কেন্দ্র, আকাল মেটাতে পরামর্শ কেজরির
এদিকে যখন করোনা বেলাগাম ভাবে গোটা দেশে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ সেখানে ততই মন্থর হচ্ছে টিকাকরণের গতি। এমনকী পরিসংখ্যান বলছে এপ্রিলের একইসময়ের তুলনায় মে মাসে এখনও পর্যম্ত প্রায় ৮৫ শতাংশ কম টিকাকরণ হয়েছে। এমনকী এখনও পর্যন্ত দেশে টিকা পেয়েছেন মাত্র ১৭ কোটি মানুষ। এমতাবস্থায় টিকার পেটেন্টের বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে জোরালো সওয়াল তুললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
টিকা সঙ্কট মেটাতে নয়া পরামর্শ কেজরির
সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে জোগান বাড়াতে করোনা টিকা তৈরির ফর্মুলা অন্য সংস্থাকে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। কেজরির দাবি আপাতত সিরাম ইন্সস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেকের কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন তৈরির ফর্মুলা দুই সংস্থার থেকে নিক কেন্দ্র। তারপর তা তুলে দেওয়া হোক অন্যান্য সংস্থার হাতে। এতই দ্রুত ও সহজ উপায়ে দেখের বিশালাকার জনসংখ্যার কথা মাথায় রেখে টিকা তৈরি সম্ভব বলে মনে করছেন কেজরি।
মন্থর হচ্ছে টিকাকরণের গতি
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র প্রথম ডোজ পেয়েছেন প্রায় ১৩.৪৪ কোটি নাগরিক। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা পূরণে যে বিপুল ১৮৮ কোটি ডোজ প্রয়োজন, সেই চাহিদা পূরণ হবে কীভাবে তার উত্তর নেই কারোর কাছেই। এমনকী আগামী তিন মাসে দিল্লির সব বাসিন্দাকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ টিকার জোগান কোথা থেকে আসবে সেই প্রশ্নই বারবার তুলছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
মাসে তৈরি হচ্ছে মাত্র ৬ কোটি ডোজ
এদিকে বর্তমানে সিরাম ও ভারত বায়োটেক মিলে দেশে প্রতি মাসে ৬-৮ কোটি টিকা তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে। কিন্তু তাতে ভারতের বিশালাকার জনসংখ্যার তুলনাই নিতান্তই নগন্য, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে রয়েছে দুটি টিকারই দুটি ডোজ নেওয়ার ঝক্কি। সহজ কথা জনসংখ্যার দ্বিগুণ সংখ্যাই টিকা ডোজ তৈরি করতে না পারলে এই হাহাকার থেকে এখনই যে মুক্তি মিলছে না তা কার্যত স্পষ্ট।
টিকা বানানোর ফর্মুলা সর্বজনীন করুক কেন্দ্র
এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কেজরির পরামর্শ টিকা বানানোর ফর্মুলা সর্বজনীন করুক কেন্দ্র। তাহলেই একমাত্র সমস্যা উত্তরন সম্ভব। ভারতের যতগুলি কারখানা টিকা তৈরি করতে সক্ষম, সেখানে যেন টিকা তৈরি করা হয়, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ইতিমধ্যেই ভারতে এসে পৌঁছেছে রাশিয়ার করোনা টিকা স্পুটনিক-ভি। তবে টিকাকরণ শুরু হতে ঢের দেরি রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। সঙ্গে ফাইজার, জনসনের টিকাও দ্রুত ভারতে পা রাখছে। তাতে সমস্যা কতটা মেটে এখন সেটাউ দেখার।