মুখ্যমন্ত্রীকে মনোনয়ন জমা দিতে অপেক্ষা করতে হল ৬ ঘণ্টা! দিল্লিতে ব্যতিক্রমী চিত্র
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মনোনয়ন জমা দিতে অপেক্ষা করতে হল ছ’ঘন্টা। আম আদমি পার্টির টিকিটে কেজরিওয়াল নয়াদিল্লি আসন থেকে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন কেজরিওয়াল
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মনোনয়ন জমা দিতে অপেক্ষা করতে হল ছ'ঘন্টা। আম আদমি পার্টির টিকিটে কেজরিওয়াল নয়াদিল্লি আসন থেকে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। ২০১৫ সালে এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী শিলা দীক্ষিতকে হারিয়ে রেকর্ড জয় পেয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার তিনি মনোনয়ন জমা দিতে জামনগরে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে পৌঁছন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল কাগজপত্র দাখিল করে প্রতীক্ষায় ছিলেন। কারণ মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন হওয়ায় তিনি অপেক্ষা করতে বাধ্য হন।
কেজরিওয়াল বলেন, আমার মনোনয়ন দাখিলের অপেক্ষায় রয়েছেন। আমার টোকেন নম্বর ৪৫। এখানে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য অনেক লোক লাইনে রয়েছেন। অনেক মানুষকে গণতন্ত্রে অংশ নিতে দেখে আমি আনন্দিত। আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, বিকেল ৩টের মধ্যে তাঁকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
নয়াদিল্লি বিধানসভা আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কেজরিওয়াল সোমবার একটি বিশাল রোড শো করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। আগামী পাঁচ বছরের যাত্রা এখান থেকে শুরু হল। দিল্লিতে ভালো কাজ হয়েছে। আশা করি আগামী পাঁচ বছরেও ভাল কাজ হবে।
কেজরিওয়াল বলেন, বিজেপি, কংগ্রেস এবং অন্যান্য অনেক দল একত্রিত হয়েছে আপের বিরুদ্ধে। এলজেপি, জেজেপি, জেডিইউ এবং আরজেডিও এক হয়েচে। প্রথমবারের মতো দিল্লিতে এ জাতীয় জোট রয়েছে। এই সমস্ত দলেরই একটি লক্ষ্য- কেজরিওয়ালকে হারানো। আর আমার একটিই লক্ষ্য, দুর্নীতি শেষ করে দিল্লিকে এগিয়ে নেওয়া যাওয়া।
বিরোধীদের লক্ষ্য কেজরিওয়ালকে পরাজিত করা। আর আমার লক্ষ্য, স্কুলগুলিকে আরও উন্নত করা, হাসপাতালগুলি উন্নত করা, বিদ্যুৎ দেওয়া। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ হওয়ায় সকাল থেকেই এসডিএম অফিসে প্রার্থীদের বিশাল ভিড় ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে 'ভিআইপি' হিসেবে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়নি।