রাজ্যে ভাই-ভাই, রাজধানীতে ঠাঁই-ঠাঁই! ২০২০ দিল্লি নির্বাচন নিয়ে বিজেপির আরও এক শরিক 'রণং দেহি' মেজাজে
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের পর বহু জটিলতা কাটিয়ে দুষ্মন্ত চৌতালা শেষমেশ 'কিং মেকার' হয়েও 'উপ'মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেন।
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের পর বহু জটিলতা কাটিয়ে দুষ্মন্ত চৌতালা শেষমেশ 'কিং মেকার' হয়েও 'উপ'মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেন। সেরাজ্যে ভোটগণিতের নিরিখে বিজেপির সঙ্গে দুষ্মন্তের দল জেজেপি সরকার গড়লেও, গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে খুব একটা সুখে 'সংসার' গঠনের পথে যাননি দুষ্মন্ত। বহু রাজনৈতিক সমীকরণ তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্ব আর উপ মুখ্যমন্ত্রিত্বের মাঝখানে চলে এসেছিল। তবে এবার ২০২০ দিল্লি নির্বাচনে নিজের শক্তিপরীক্ষার পথে এগিয়ে ফের একবার ঝাঁপাতে চলেছেন দুষ্মন্ত।
অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেজেপি-বিজেপি ভোট সমীকরণ
গত অক্টোবর মাসে ত্রিশঙ্কু হরিয়ানা বিধানসভায় চটানটান উত্তেজনার শেষে সরকার গড়ে জেজেপি-বিজেপি জোট। সেই সময় 'কিং মেকার' তথা জেজেপি নেতা দুষ্মন্ত সিং চৌতালা প্রথম থেকেই নিজের মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবির বিষয়ে সরব ছিলেন। যদিও শেষমেশ তা পাননি তিনি। এরপর বিজেপির হাত ধরলেও, আসন্ন ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধেই এবার প্রার্থী দিতে চলেছে জেজেপি।
দিল্লি নিয়ে প্রস্তুতি দুষ্মন্তবাহিনীর
হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)র দিল্লি শিবিরের প্রধান হরিয়ানার নামী চৌতালা পরিবারের সন্তান দুষ্মন্ত। আর এবার দুষ্মন্তের অঙ্গুলি হেলনেই দিল্লি নির্বাচেন সমস্ত কেন্দ্রে প্রার্থী দিচ্ছে জেজেপি। সেখানে এনডিএ শরিক হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির সঙ্গে মিলে লড়ার পরিকল্পনায় নেই পার্টি।
২০১৫ সালের দিল্লি নির্বাচনে কী পরিস্থিতি ছিল?
২০১৫ সালে দিল্লি নির্বাচনে ৭০ টি আসনের মধ্যে কেজরিওয়াল ঝড়ে 'আপ' জিতে নেয় ৬৭ টি আসন। অন্যদিকে, মাত্র ৩ টি আসন পায় বিজেপি। এরপর ২০২০ সালের দিল্লি ভোট। যার আগেই নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিজেপির নেতৃকত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে একের পর এক ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে খোদ এনডিএ শরিক জেজেপি-ই বিজেপির বরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছে।
আর কোন এনডিএ শরিকের দিল্লি নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা?
বিজেপির হরিয়ানার শরিক ছাড়াও বিহারে বিজেপি জোটের শরিক জেডিইউ মোদী শিবিরের বিরুদ্ধে দিল্লি নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে। আর তা জেডিইউ নিজেই স্পষ্ট করে দিয়েছে। এমন পরিসস্থিতিতে দিল্লি নির্বাচন নিয়ে ময়দান জমজমাট হয়ে উঠছে।
সিএএ-র সমর্থনে মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক