সিগারেটের থেকেও ক্ষতিকারক দিল্লির বায়ুদূষণ, কমছে গড় আয়ুও! আশঙ্কার কথা শোনালেন এইমসের ডিরেক্টর
কালো ধোঁয়াতে ঢেকেছে দিল্লির আকাশ। কার্যত দেখা দুস্কর হয়ে উঠেছে রাজধানীতে। গতকাল শুক্রবারই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, দিওয়ালির পর দিল্লিতে দূষণ ছিল তা নাকি গত পাঁচ বছরের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আর এই খবর য
কালো ধোঁয়াতে ঢেকেছে দিল্লির আকাশ। কার্যত দেখা দুস্কর হয়ে উঠেছে রাজধানীতে। গতকাল শুক্রবারই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, দিওয়ালির পর দিল্লিতে দূষণ ছিল তা নাকি গত পাঁচ বছরের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আর এই খবর যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়ায় পরিবেশবিদদের।
আর এই উদ্বেগের মধ্যেই দিল্লির দূষণ নিয়ে আরও এক আতঙ্কের খবর শোনালেন দিল্লি এইমসের ডিরেক্টর রনদীপ গুলরিয়া। তাঁর মতে, এই মুহূর্তে দিল্লির দূষণ ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, তাঁর মতে, সিগারেটের ধোঁয়ার থেকেও আরও ক্ষতিকর এই মুহূর্তের দিল্লির বায়ু দূষণ।
আর এই দূষণ দিল্লির বাসিন্দাদের আয়ু পর্যন্ত কমিয়ে দিচ্ছে বলেও দাবি এইমস কর্তা। তাঁর এহেন মন্তব্যে রীতিমত আতঙ্কের কালো মেঘ তৈরি হচ্ছে।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রনদীপ গুলরিয়া। সেখানে বায়ু দূষণ সংক্রান্ত একটি সমীক্ষার কথা তুলে ধরেন তিনি। আর সেই তথ্যকে হাতিয়ার করেই গুলরিয়া বলেন, দিল্লির বাসিন্দাদের আয়ু ভয়ঙ্কর ভাবে কমে যাচ্ছে। এই বিষয়ে বেশ কিছু ডেটাও তুলে ধরেন তিনি। দীপাবলিতে বাজি ফাটানোর জন্যে নাকি আরও দূষণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বিষয়ে এইমস কর্তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, উৎসবের মরশুমে গাড়ির চাপ অনেক বেড়ে যায়। যা দূষণের অন্যতম কারণ হিসাবে বলেন এইমসের ডিরেক্টর রনদীপ গুলরিয়া। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে তিনি আরও জানান যে, "ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে দূষণ খুব বেশি। দীপাবলিতে বাজি ফাটানোও এতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।"
উল্লেখ্য, এর আগেও আতসবাজি পোড়ানো, প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে খড় পোড়ানোর উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কারণে দিল্লিতে এর আগেও চূড়ান্ত বাজে বায়ু দূষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কেউ না মানার ফল ভোগ করছে দিল্লির মানুষ। শুক্রবার সকালে দিল্লির বায়ুর মান সূচক (একিউআই) ছুঁয়েছে ৬০০-তে।
এছাড়াও পূর্ব দিল্লি, গাজিয়াবাদ ও নয়ডা সহ একাধিক এলাকায় শুক্রবার সকালে ৮০০-তে পৌঁছেছে বায়ুর মান। যদিও বেলা বাড়তে পরিস্থিতি আরও কিছুটা জটিল হয়। এই বিষয়ে বিস্তাারিত তথ্যও দূষণ রষদের তরফে তুলে দেওয়া হয়েছে।
একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি, দুষনের কারনে চোখে জ্বালা। জল পড়ার মতো মারাত্মক সমস্যাতে ভুগছেন দিল্লির মানুষ। শুধু তাই নয়, শ্বাস নিতেও নাকি সমস্যা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে রনদীপ গুলরিয়া আরও বলেন, দূষিত এলাকায় কোভিড আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে। ফুসফুসের আরও ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাঁর। দূষণের সঙ্গে মিশে গিয়ে করোনা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা দিল্লি এইমসের ডিরেক্টরের।