অমানবিক দিল্লি, ১২ ঘন্টা ধরে রাস্তায় পড়ে জখম ব্যক্তি, চুরি গেল টাকাভর্তি ব্যাগ
ফের অমানবিক দিল্লি, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১২ ধরে রাস্তায় পড়ে থাকলেও এগিয়ে এল না কেউ, উল্টে একজন তাঁর ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে চম্পট দিল ।
ফের এক অমানবিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল রাজধানী। ১২ ঘণ্টা ধরে রাস্তায় পড়ে কাতরালেন এক ব্যক্তি, কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া তো দুর, পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন পথচলতি মানুষ। শুধু তাই নয়, একজন তো অসহায় ওই ব্যক্তির মোবাইল ফোন ও ব্যাগ নিয়েও চম্পট দিল। প্রায় ১২ ঘণ্টা এভাবেই পড়ে থাকার পর পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পেশায় গাড়িচালক নরেন্দ্র কুমার গত ১৫ই অগাস্ট বিকেলে দিল্লির কাশ্মীরি গেটের কাছে একটি গাড়ির ধাক্কায় আহত হন। তবে আঘাত গুরুতর হলেও রাঁর রক্তক্ষরণ হয়নি। রাস্তার পাশে পড়ে তিনি একটানা সাহায্যের জন্য আবেদন করতে থাকেন। কিন্তু পথচলতি মানুষ তাঁকে দেখেও পাশ কাটিয়ে চলে যেতে থাকেন। এই পর্যন্তও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু এরইমধ্যে একজন পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁর ব্যাগ ও মোবাইল ফোনটি নিয়ে চলে যায়। একজন এগিয়ে এসে এক বোতল জল দিলেও তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। তাঁর রক্তক্ষরণ না হওয়ায় পথচলতি মানুষ তাঁকে মদ্যপ ভেবেই পাশ কাটিয়ে চলে যান বলে মনে করা হচ্ছে।
এভাবেই প্রায় ১২ ঘন্টা পড়ে থাকার পর ভোর ৫টা নাগাদ পুলিশ এসে তাঁকে সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘাড়ে, পিঠে ও পায়ে তাঁর গুরুতর চোট ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর ব্যাগে নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। ফোনটি নিয়ে চলে যাওয়ায় তিনি বাড়িতেও কাউকে জানাতে পারেননি।
এর আগে গত বছর ভোরে এক নিরাপত্তারক্ষীকে ধাক্কা মেরে পালায় এক ছোট গাড়ি। সেবারও প্রায় ৯০ মিনিট রাস্তাতেই পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এরইমধ্যে কেউ একজন তাঁর মোবাইল নিয়ে পালায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
[আরও পড়ুন: দিল্লির পাঁচ তারা হোটেলে মহিলাকর্মীর শ্লীলতাহানি, অভিযোগ জানানোয় চাকরি গেল প্রতিবাদীর]