ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করুন নয়তো সেনা থেকে পদত্যাগ করুন! কড়া বার্তা দিল্লি হাইকোর্টের
ভারতীয় সেনায় সোশাল মিডিয়া ব্যবহারে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন এক সেনা আধিকারিক। আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি আবেদনকারী লেফটেন্যান্ট কর্নেল পি কে চৌধুরিকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়, তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন কোনও ছাড় দেওয়া যাবে না। প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে চলতে হবে অথবা তিনি প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যান।

সেনা আধিকারিকের আবেদনে
ওই সেনা আধিকারিক তাঁর আবেদনে জানান, একবার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিলে সব তথ্য, যোগাযোগ এবং ফেসবুকের বন্ধুরা হারিয়ে যাবে। বিচারপতি রাজীব সাহাই এন্ডল এবং আশা মেননের বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হয়। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই আবেদনকে গুরুত্ব দেওয়ার মতো কোনও কারণ নেই। বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন ছাড়ের কোনও প্রশ্নই উঠছে না। বিশেষ করে যেক্ষেত্রে দেশের সুরক্ষা জড়িয়ে আছে।

এফবি অ্যাকাউন্ট ডিলিট করুন
বেঞ্চ ওই সেনা আধিকারিকের উদ্দেশে বলেন, আপনি দয়া করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করুন। এভাবে চলতে পারে না। আপনি একটি প্রতিষ্ঠানের অংশ। সেই প্রতিষ্ঠানের নিয়মাবলী আপনাকে মেনে চলতে হবে। আর ফেসবুক যদি আপনার এতই প্রিয় হয়, তাহলে ইস্তফা দিয়ে দিন। আপনাকে একটা বেছে নিতে হবে।

টিকটকসহ ৮৯টি অ্যাপ ডিলিটের নির্দেশ সেনার
সম্প্রতি জওয়ানদের ফেসবুক, টিকটকসহ ৮৯টি অ্যাপ ডিলিটের নির্দেশ দেয় ভারতীয় সেনা ৷ সেনার তরফে এক নির্দেশিকায় বলা হয়, স্মার্টফোন থেকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, টিন্ডার ও পাবজি সব ৮৯টি অ্যাপ ডিলিট করতে হবে৷ এইসব অ্যাপ থেকে তথ্য ফাঁস হতে পারে৷ ফলে, জওয়ানদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি হবে৷

সেনা আধিকারিকের ফেসবুক নিয়ে আবেদন
এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদন জানান সেনা আধিকারিক। বর্তমানে তাঁর জম্মু ও কাশ্মীরে পোস্টিং রয়েছে। আবেদনে তিনি জানান, ফেসবুকে তিনি সংক্রিয়। তিনি পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের অনেকে যাঁরা বিদেশে থাকেন, তাঁদের সঙ্গে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখেন। তাই তিনি ডিঅ্যাক্টিভ ফর্মে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রাখার অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানান। যদিও তাতে সায় নেই আদালতের। পরবর্তী শুনানি ২১ জুলাই।

কাশ্মীরে ফের নিশানায় বিজেপি! সোপোরে জঙ্গিদের হাতে অপহৃত পদ্ম শিবিরের নেতা, তদন্তে পুলিশ