এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না লাদাখে! রাহুলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রক
পূর্ব লাদাখের প্যাংগনে ভারতের দখলে থাকা ফোর ফিঙ্গারের কিয়দংশও ছাড়া হবে না চিনকে। শুক্রবার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল।
পূর্ব লাদাখের প্যাংগনে ভারতের দখলে থাকা ফোর ফিঙ্গারের কিয়দংশও ছাড়া হবে না চিনকে। শুক্রবার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর তোলা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মন্ত্রক জানিয়েছে, চিনের সাথে চুক্তিতে ভারত কোনও অঞ্চলই ছেড়ে দেয়নি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, "ভারতীয় ধারণা অনুসারে লাইন অফ অ্যাকুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি ফিঙ্গার এইট-এ রয়েছে, ফিঙ্গার ফোরে নয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, চিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক বোঝাপড়ার পরও ভারত এইট ফিঙ্গার পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকার অবিরামভাবে বজায় রেখেছে।
মন্ত্রকের মতে, প্যাংগংয়ের উত্তর তীরে উভয় পক্ষের স্থায়ী পোস্টগুলি দীর্ঘস্থায়ী এবং সু-প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "কোনও অঞ্চলের অধিকার ছাড়া হয়নি। এলএসি'র প্রতি শ্রদ্ধা জারি রেখে স্থিতাবস্থায় যে কোনও একতরফা পরিবর্তন রোধ করা হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বৃহস্পতিবার সংসদে এলএসি পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। ভারতীয় সেনারা এখন ফিঙ্গার থ্রি-তে অবস্থান করছে। রাহুল দাবি করেছিলেন, ফিঙ্গার ফোর হ'ল ভারতের অঞ্চল এবং সেখানেই "আমাদের পোস্ট ব্যবহৃত হত"।
রাহুল
বলেছিলেন,
"এখন
আমরা
ফিঙ্গার
ফোর
থেকে
ফিঙ্গারে
থ্রি-এ
চলে
এসেছি।
প্রধানমন্ত্রী
মোদী
কেন
চিনকে
ভারতীয়
অঞ্চল
ছেড়ে
দিয়েছেন।
এই
প্রশ্নের
উত্তর
তাঁর
এবং
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
দেওয়া
দরকার।"
এর
আগে
বৃহস্পতিবার
প্রতিরক্ষামন্ত্রী
রাজনাথ
সিং
পার্লামেন্টে
বলেছিলেন
যে,
পূর্ব
লাদাখের
সীমান্ত
রেখা
নিয়ে
ভারত
ও
চিন
একমত
হয়েছে।
রাজনাথ
সিংয়ের
দেওয়া
বিবৃতি
অনুসারে,
দুই
এশিয়ান
প্রতিপক্ষ
পূর্ব
লাদাখের
প্যাংগং
হ্রদের
উত্তর
ও
দক্ষিণ
তীরে
সরে
যেতে
একমত
হয়েছে।
উভয়পক্ষকে
পর্যায়ক্রমিক,
সমন্বিত
ও
যাচাইযোগ্য
পদ্ধতিতে
সেনা
মোতায়েন
বন্ধ
করার
আদেশ
দেওয়া
হয়েছে।
তিনি
বলেছেন,
পঙ্গং
হ্রদের
উত্তর
ও
দক্ষিণ
তীরে
সেনা
মোতায়েনের
নিষেধাজ্ঞার
চুক্তি
বাস্তবায়ন
বুধবার
শুরু
হয়েছিল।