“দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে কখনও রাজনৈতিক রং লাগানো উচিত নয়”, রাফালে ইস্যুতে বললেন রাজনাথ
চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সরকারের রাফায়েল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। ভোটের আগে ৫৯,০০০ হাজার কোটি টাকার রাফায়েল চুক্তিকে হাতিয়ার করে সরব হয়ে বিরোধীরা। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২০১৮ সালের ১৪ই ডিসেম্বর রাফায়েল কেলেঙ্কারি মামলায় ক্লিন চিট পায় কেন্দ্র সরকার। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে একগুচ্ছ রিভিউ পিটিশন জমা দেয় বিরোধীরা।

এবার বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রাফায়েল মামলার পুনর্বিবেচনার রায় খারিজ করে ফের 'ক্লিন চিট' দিলো কেন্দ্রীয় সরকারকে। রাফায়েল চুক্তিতে আর কোনও তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতকে সাবধান বানী শোনাতে দেখা গেল সোনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধীকে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রাফায়েল প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে 'চৌকিদার চোর হ্যায়' বলায় ফৌজদারি অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীকে করা মন্তব্যের জেরে শীর্ষ আদালত জানায়, কোথাও মন্তব্য করার আগে এবার থেকে আরও সতর্ক হওয়া উচিত রাহুল গান্ধীর।
রাহুল গান্ধীর কড়া সমালোচনা রাজনাথ সিংয়ের
এদিকে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং প্রদেশে মৈত্রী দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধীর কড়া সমালোচনা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, "রাফায়েল নিয়ে আদেও কোনও দুর্নীতি হয়নি। বিরোধীরা সরকার ও নরেন্দ্র মোদীকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এসব দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। ভারতের জনগণ কংগ্রেসকে কোনও দিন ক্ষমা করবেনা।"
এদিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজাতে রাফায়েল মামলাকে প্রধান হাতিয়ার করে কংগ্রেস। এদিন রাজনাথ সিং বলেন, "জনগণকে ভুল বোঝানোর জন্য কংগ্রেসের ক্ষমা চাওয়া উচিত।" তিনি আরও বলেন, "রাফায়েল জেট কেনা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যে সব অভিযোগ তুলেছিল, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং অযৌক্তিক ছিল।" রাফায়েল জেট ক্রয় একদম স্বচ্ছ প্রক্রিয়াতেই হয়েছিল বলে জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন তিনি বলেন “ দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে কখনও রাজনৈতিক রং লাগানো উচিত নয়।”