চিনা আগ্রাসনের ডোকলাম থেকে লাদাখ পর্ব প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সাইট থেকে নিঃসাড়ে সরে গিয়েছে! তোলপাড়
কয়েক মাস আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইটে লাদাখে চিনের অবৈধ প্রবেশের তথ্য দিয়েও তা তুলে নিয়েছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। যা নিয়ে মোদী সরকারের বিপুল সমালোচনা হয়। এরপর ফের একবার অক্টোবরে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে উড়ে গেল আরও কিছু তথ্য। যেখানে ২০১৭ সালে ডোকলাম পর্ব থেকে শুর করে লাদাখে চিনের আগ্রাসন নিয়ে ছিল বহু রিপোর্ট। বিষয়টি নিয়ে ধীরে ধীরে চড়ছে পারদ।
প্রতিরক্ষামন্ত্রক কী বলছে?
দেশের সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য় অনুযায়ী, প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, যে সমস্ত তথ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা খু শিগগিরিই প্রকাশ্যে আসবে ওয়েবসাইটে। অক্টোবরের মধ্যেই ২০১৭ সাল থেকে চিনা আগ্রাসনের বিষয়ের রিপোর্ট পেশ করা হবে সাইটে।
চিন তথ্য ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক
চিন-ভারত সংঘাতের মাঝে ৩ মাস কেটে যাওয়ার পর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইটে একটি তথ্যে জানানো হয় যে, ভারতে লাদাখের মাটিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল চিন। এই তথ্য নিয়ে দেশ উত্তাল হতেই মুহূর্তে তা সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৭ সাল থেকে গোটা রিপোর্টই সরে গেল প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সাইট থেকে।
কী ছিল বিতর্কিত রিপোর্ট?
যে রিপোর্ট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তাতে লেখা ছিল গত ৫ মে থেকে গালওয়ান উপত্যকায় চিন অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে সেই সময় চিন ভারতে অনুপ্রবেশ করে বলে দাবি করা হয়। জানানো হয়, কুগরাং নালা, গোগরা, প্যানগংয়ের ধার দিয়ে ১৭-১৮ মে চিন অনুপ্রবেশ করে।
প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা
ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবির প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই ওয়েবসাইটের তথ্য় নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আগেরবার লাদাখ নিয়ে আচমকা তথ্যগুলি সাইট থেকে কেন মোদী সরকার সরিয়ে দেয় তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল। এবার ফের একবার ২০১৭ সালের থেকে রিপোর্ট সরে যাওয়া নিয়ে ফুঁসছে বিরোধীরা।