চিনের রক্তচক্ষু ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে তৈরি নৌসেনার বিধ্বংসী রণতরী, উদ্বোধন করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
চিনের রক্তচক্ষু ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে তৈরি নৌসেনার বিধ্বংসী রণতরী, উদ্বোধন করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
উত্তর পূর্বের সীমান্তে আগ্রাসন শুরু করেছে ভারতীয় নৌসেনা। তারই মাঝে আবার জলপথেই আস্ফালন করছে ভারতীয় ফৌজ। চিনের এই রক্তচক্ষুকে জবাব দিতেই তৈরি ভারতীয় নৌসেনার বিশেষ জাহাজ। বিধ্বংসী মিসাইলকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই জাহাজ। ররিবার সেই বিধ্বংসী জাহাজের উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। ছিলেন সিিডএস অনিল চৌহ্বান এবং গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত এবং গোয়ার রাজ্যপাল পিএস শ্রীধরন প্লিল্লাই।
চিন যখন অরুণাচল সীমান্তে রক্ত চক্ষু দেখাচ্ছে তখন নৌসেনায় এমন এক বিধ্বংসী রণতরীর সামিল হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কয়েকদিন আগে তামিলনাড়ুকে সতর্ক করেছিল ইন্টালিজেন্স শ্রীলঙ্কা উপকূলে তৎপরতা শুরু করেছিল চিনা নৌসেনা। শ্রীলঙ্কায় অস্থিরতা তৈরি হওয়ার পর থেকেই সেখানে চিনা ফৌজের তৎপরতা বেড়েছিল।
সমগ্র ভারত মহাসাগর জুড়েই চিনা ফৌজ তৎপর হয়েছিল। ভারত মহাসগর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চিনা ফৌজ। এই নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। এমনকী জাপানও সন্ত্রস্ত চিনা নৌসেনার এই তৎপরতা নিেয়। শুধু স্থলপথে নয় চিন জলপথেও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেকারণে জলপথকেও শক্তিশালী করে রাখতে চাইছে মোদী সরকার। সেকারণেই এই তৎপরতা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
লাদাখের সমস্যা কাটতে না কাটতেই অরুণাচল প্রদেশে আস্ফালন শুরু করেছে চিনা বাহিনী। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে সীমান্ত লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছে চিনা ফৌজ। তার পাল্টা প্রতিরোধ গড়েছে ভারতীয় সেনাও। সেই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার চার জওয়ান আহত হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল এই নিয়ে উত্তাল হয়েছে লোকসভা। রাজনৈতিক মহলের একাংশে মনে করছেন লোকসভা অধিবেশনে বিরোধীদের নজর ঘোরাতেই এই পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।
তবে তাওয়াংয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনও খামতি রাখা হচ্ছে। লোকসভায় বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছেন কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে তাওয়াংয়ে। সেখানে আকাশে টহল দিচ্ছে বায়ুসেনার বিমান। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বায়ুসেনাকে। নিকটবর্তী সব বায়ু সেনাঘাঁটিকে সতর্ক করা হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংকে নো ফ্লাইং জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রচণ্ড শীতের মধ্যে যাতে সেনাবাহিনী কাজ করতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত গরম পোশাক পাঠানো হচ্ছে। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার। পানীয় জল।
নাসার অরবিটারে ধরা পড়ল মঙ্গল গ্রহের গর্ত! এক অদ্ভুত প্যাটার্ন নজর করলেন বিজ্ঞানীরা