মানহানি মামলা: আদালতে আজ হাজিরা দিতে হবে কেজরিওয়াল ও গড়করিকে
ম্যাজিস্ট্রেট গোমতী মোনোচা ২৩ মে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের হাজতবাসের মেয়াদ ৬ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। এর পরেও জামিনের টাকা দিয়ে মুক্তি পেতে অস্বীকার করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
কেজরিওয়ালের এই একরোখা মনোভাবের ফলে বিচারপতি কৈলাস গম্ভীর এবং বিচারপতি সুনীতা গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ অ্যাডভোকেট শান্তি ভূষণ এবং অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ দিল্লি হাইকোর্টের তরফে তিহার জেলে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন। ব্যক্তিগত জামিন দায়ের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। বেঞ্চের তরফ থেকে কেজরিওয়ালকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই মামলাটিকে তিনি যেন নিজের মানসম্মানের বিষয় না বানান। সবার প্রথমে যেন তিনি যাতে জামিন নিয়ে নেন সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
এর পর ব্যক্তিগত জামিন নিয়ে জেল থেকে বেরোন কেজরিওয়াল। সেই মামলার বিষয়েই আজ আদালতে হাজিরা দিতে হবে কেজরিওয়ালকে। শুধু কেজরিওয়াল নয়, যিনি মানহানির মামলা করেছেন অর্থাৎ বিজেপি নেতা তথা বর্তমান মোদী সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করিকেও উপস্থিত থাকতে হবে আদালতে।
নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন, দলের তৈরি দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের তালিকায় নাম রয়েছে নীতিন গড়করির। যদিও গড়করির দাবি ছিল, এই অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং অবশ্যই মানহানিকর। তাঁর মান সম্মানে আঘাত করেছেন কেজরিওয়াল, আর সেই কারণেই মানহানির মামলা দায়ের করেন নীতিন গড়করি।
এই মামলার জন্য গত ২১ মে পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজিরা দেন কেজরিওয়াল। আদালত ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁকে জামিন দিতে রাজি থাকলেও কেজরিওয়াল বেঁকে বসেন। ফলে জেলে যেতে হয় তাঁকে। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ ফের আদালতে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।