ব্ল্যাক ম্যাজিক থেকে পচা-গলা মৃতদেহ উদ্ধার, আসারামের আশ্রম ঘিরে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য
২০১৩ সালের ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসারাম বাপুকে নিয়ে আজই রায় দিতে চলেছে জোধপুরের বিশেষ এসসি এসটি আদালত।
২০১৩ সালের ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসারাম বাপুকে নিয়ে আজই রায় দিতে চলেছে জোধপুরের বিশেষ এসসি এসটি আদালত। স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু আসারামের বিরুদ্ধে এক ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অবিযোগ রয়েছে। আর সেই অভিযোগের জেরেই ৭৬ বছরের আসারামকে আজ রায় শোনাবে আদালত। ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত এই ধর্মগুরু ছাড়াও তাঁর ছেলে নারায়ণ সাইয়ের বিরুদ্ধেও দুই মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এই সমস্ত অভিযোগ ছাড়াও আসারামের আশ্রমে কী কী চলত তা নিয়ে উঠে আসছে কিছু তথ্য। আসারামের আশ্রমের এখনের পরিস্থিতিই বা কী, দেখে নেওয়া যাক।
[আরও পড়ুন:জোধপুর জেলে আসারাম বাপুর সাথে দেখা হতেই কী করলেন সলমন]
দুজন বালকের মৃত্যু
২০০৮ সালের জুলাই মাস। আসারামের মোতেরা আশ্রমে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল দুজন বালকের পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে। সেই প্রথম বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে আসারামের আশ্রম। আশ্রম পরিচালিত গুরুকুলের দুই কিশোরের মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ চলেছিল আসারাম ও তাঁর শিবিরের বিরুদ্ধে।
ওই দু'জন কি কিছু দেখে ফেলেছিল!
সূত্রের দাবি, দুই বালক দীপেশ ও অভিষেক বাঘেলা জেনে ফেলেছিল আসারামের ব্ল্যাক ম্যাজিকের কথা। শুধু তাই নয়, তন্ত্র ও ব্ল্যাক ম্য়াজিক করেই ওই দুই বালককে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, দুজন বালককে তন্ত্রের জন্য ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে আসারামের ছেলে নারায়ণ সাইয়ের বিরুদ্ধে। বালকদের মৃতদেহ উদ্ধার হয় সাবরমতীর চর থেকে। যা আশ্রমের কাছেই ছিল। ফলে, অভিযোগ ঘিরে রহস্য থেকেই যাচ্ছে।
সেই ঘটনার কে গ্রেফতার হয়?
দুই বালকের মৃত্যুর ঘটনায় আশ্রমের ৭ জন সাধুকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ছোঁয়া যায়নি আসারামকে। এই ঘটনায় বিচারপতি ডিকে ত্রিবেদী কমিশন শেষমেশ রিপোর্ট প্রকাশ করে। কিন্তু সেই রিপোর্ট বিধান সভায় পেশই করা হয়নি। দুই মৃত বালকের মধ্যে একজনের বাবা এই ঘটনায় রাজস্থান সরকারের সমস্ত মহলে হন্যে হয়ে ঘুরেই ছেলের মৃত্যু রহস্যের কিনারা করতে পারেন নি আজও।
আশ্রমের এখন কী বক্তব্য?
আশ্রম কর্তৃপক্ষের দাবি, আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ বানানো হয়েছে। এরকম কোনও ঘটান ঘটেনি। পাশাপাশি রোজ আশ্রমে ২০০০ জন মানুষ আসেন। সৎসঙ্গ আয়োজন হয়। কারোরই আসারামের বিরুদ্ধে এরকম কিছু মনে হয়নি।
একচালার ঘর থেকে অট্টালিকা... আশ্রম ঘিরে তথ্য
১৯৪১ সালে আসারাম বাপু সিন্ধ প্রদেশে জন্মান। তারপর আহমেদাবাদে বড় হয়ে ওঠেন। সাবরমতীর তীরে একটি ছোট্ট একচালার ঘরে আসারামের শৈশব থেকে কৈশোর কেটেছে। ১৯৭০ সালে আসারাম ধর্মীয় বিষয়ে আগ্রহী হন।
কত খানি এলাকা জুড়ে আশ্রম?
মোতেরার সবচেয়ে দামি জায়গায় রয়েছে আসারামের আশ্রম। আশ্রম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জোর করে জমি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আসারাম ট্রাস্টের বিরুদ্ধেও রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। আসারামের আশ্রমের পাঁচিল , আর সেখানকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাঁচিল একটিই। এনিয়েও রয়েছে একাধিক অভিযোগ।