উৎসবের মরসুমে কি টিভি বা মোবাইল কেনার পরিকল্পনা করছেন? করোনা ধাক্কায় কতটা বাড়বে দাম?
জুনেই মাঝামাঝি সময়ে গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষের পর থেকেই ক্রমেই চড়ছে চিন-ভারত উত্তেজনার পারদ। মাঝেই কিছুদিন সাময়িক স্থিতাবস্থা বজায় থাকপর গত সপ্তাহ থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে প্যাংগং উপত্যকাকে কেন্দ্র করে ফের বাড়তে থাকে উত্তজনার পারা। এদিকে গত কয়েক মাসে আগে চিনকে বাণিজ্যিক ভাবে বয়কটের রাস্তায় হাঁটে ভারত। দুর্গাপুজো, নবরাত্রী, দিওয়ালির আগে যার ছাপ পড়তে চলেছে ভারতীয় বাজারেও।

কোন কোন পণ্যের দাম বাড়তে পারে
চিনা-ভারত সংঘাতের আবহে প্রায় ২০০টির বেশি অ্যাপ ব্যানের পাশাপাশি চিনা পন্য বয়কটের ডাক ওঠে প্রায় গোটা দেশজুড়েই। চিন থেকে আমদানি করা এই পণ্যের গুলির মধ্যে প্রধানত থাকে,খেলনা, গৃহস্থালি সামগ্রী, মোবাইল, বৈদ্যুতিন পণ্য, প্রসাধন সামগ্রী সহ একাধিক সামাগ্রির উপরেও চাপানো হয় নিষেধাজ্ঞা। যার জেরেই আসন্ন উত্সবের মরসুমে একাধিক প্রোডাক্টের দাম প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

চিনা পণ্য বয়কটের ডাকে সামিল সিএআইটি
এদিকে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠতেই 'ভারতীয় সামান-হামারা অভিযান' শীর্ষক ব্যানারে আন্দোলন শুরু করে দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি)। সেখানে ইতিমধ্যেই ইতিমধ্যেই ৩০০০ চিনা পণ্য সম্বলিত ৫০০ মূল প্রোডাক্টের একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয় তাদের তরফে। যেগুলো চিন থেকে আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর এর জেরেই পুজোর মরসুমে এখন মাথায় হাত দিতে চলেছেন ভারতীয় ক্রেতারা।

২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে দাম
এদিকে নবরাত্রী ও দিওয়ালিকে সামনে রেখে অনেক সংস্থায় এই সময় বেশি গ্রাহক টানতে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্যে বড় ছাড়ের ঘোষণা করে থাকে। ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের মতো বড় বড় ই-কমার্স সংস্থা গুলো। ঘোষণা করা হচ্ছে বড় ছাড়েরও। কিন্তু করোনা ধাক্কায় তীব্র মন্দা ও চিনা পণ্য বয়কটের জেরে এবারে সে গুড়ে অনেকটাই বালি পড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ সাধারণ অবস্থাতেই বিভিন্ন কোম্পানির টেলিভিশন সেটের দাম প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

চলছে কালোবাজারি
বিশেষজ্ঞদের মতে, একাধিক ইলেকট্রনিক পণ্যের যন্ত্রাংশ চিন থেকে এতদিন আনা হত। বর্তমানে সেগুলি অপ্রতুল হওয়ায় ভারতীয় বাজারের উরেই ভরসা করতে হচ্ছে। সেখানেই হচ্ছে দামের হেরফের। টিভির সেটের ক্ষেত্রে তার দামের ৬০ শতাংশই দিতে হয় টিভির স্ক্রিন তৈরির প্যানেলের জন্য। বর্তমানে এই প্যানেলের দামই আকাশ ছোঁয়া। তাছড়া চিনা পন্য বয়কটের সুযোগ নিয়ে একশ্রেণির ব্যবসায়ী কালোবাজারি করছে বলেও শোনা যাচ্ছে। তার ফলেই পুজোর ভরা বাজারেও টিভির দাম বেশ কয়েক গুণ যে বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য।

লাদাখে কেন অপটিক্যাল ফাইবার বিছিয়ে যাচ্ছে বিস্তারবাদী চিন ! লালফৌজ গোপনে কী ঘটাতে চাইছে