ঘূর্ণিঝড় গাজা-র দাপটে মৃতের সংখ্যা 'হাফ-সেঞ্চুরি'র পথে, ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ তামিলনাড়ুতে
ঘূর্ণিঝড় গাজা-র দাপটে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
ঘূর্ণিঝড় গাজা-র দাপটে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সপ্তাহের শেষে তা পৌঁছে গিয়েছে ৪৫-এ। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই পলানিস্বামী দল রাজনৈতিক দলের কাছে আহ্বান জানিয়েছে যাতে সকলে ত্রাণ বিলির কাজে হাত লাগান। বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ পৌঁছনো ও বিলি ঠিকমতো হয়নি বলে রীতিমতো ক্ষোভ রয়েছে।
ব্যাপক ক্ষতি
পলানিস্বামী জানিয়েছেন, ১ লক্ষ ৭০ হাজার গাছ ঝড়ের দাপটে উপড়ে গিয়েছে। গবাদি পশু মারা গিয়েছে ৭৩৫টি। মোট ১ লক্ষ ১৭ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ছয়টি জেলার ৮৮ হাজার ১০২ হেক্টর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নাগাপট্টিনম
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা নাগাপট্টিনম। চেন্নাই থেকে এটি ৩০০ কিলোমিটার দূরে। সেখানকার বেদারণ্যমে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে মোট ৬০টি ত্রাণ শিবিরে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী কম পড়ে গিয়েছে। পুড়ুকোট্টাইয়ের কিছু কিছু জায়গায় ঘূর্ণিঝড়ের পর সরকারি ত্রাণ পৌঁছয়নি। ফলে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে।
চেষ্টা করছে সরকার
উপমুখ্যমন্ত্রী ও পন্নিরসেলবম নাগাপট্টিনমে ঘুরে এসেছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন। কিছু কিছু মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছয়নি বলে মিথ্যা খবর দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে বলে মুখ্যমন্ত্রী পলানিস্বামী জানিয়েছেন।
ক্ষতিপূরণ ঘোষণা
সবমিলিয়ে মোট ৪৫ জন মারা গিয়েছেন। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া আহতদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। মোট ২.৫ লক্ষ মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এক হাজারের বেশি মোবাইল মেডিক্যাল ভ্যান ঘুরছে।