(ছবি) সারা দেশে তাপের বলি প্রায় ৬০০, রাজ্যে মৃত ১৩
নয়াদিল্লি, ২৫ মে : কোনওভাবেই তাপপ্রবাহ থেকে রেহাইয়ের কোনও সুযোগ নেই আপাতত। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত তাপপ্রবাহের বলি হয়েছেন প্রায় ৬০০ জন। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ১৩ জন ও ওড়িশায় ২৩ জন মানুষ গরমের বলি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহে দেশজুড়ে শ'য়ে শ'য়ে মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এখন পর্যন্ত শুধু তেলেঙ্গানায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জনের। অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে মারা গিয়েছেন ৩৩৩ জন। এর মধ্যে ৪২ জন মারা গিয়েছেন সানস্ট্রোকে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জারি মৃত্যুমিছিল। কড়া তাপপ্রবাহ চলছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ সহ গোটা উত্তরভারত জুড়ে। এছাড়া বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানার মতো রাজ্যও টুটিফাটা হচ্ছে।
এছাড়া দক্ষিণ ভারতেও অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ুও রীতিমতো তাপে ফুটছে। উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদেই সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসুন দেখে নেওয়া যাক গরমে কী অবস্থা সারা দেশের।
আগ্রা (উত্তরপ্রদেশ) ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
গোটা দেশের মানুষ তাকিয়ে আকাশের দিকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশের আবহাওয়া দফতরগুলি কোনও ভরসার কথা শোনাতে পারছে না।
আহমেদাবাদ (গুজরাত) ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দেশ জুড়ে হাসপাতালগুলিতেও ক্রমশ বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের ভিড়।
চণ্ডীগড় (পাঞ্জাব) ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, আরও অন্তত কয়েকদিন চলবে এই তাপপ্রবাহ।
চেন্নাই (তামিলনাড়ু) ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সরকারি নির্দেশে পথে নেমে প্রচার চালানো হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে।
দিল্লিতে তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দিনের বেলায় বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রে সর্তক করছেন চিকিৎসকেরা।
ফরিদাবাদ (হরিয়ানা) ৪৩ ডিগ্রি
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে গরম থেকে বাঁচার উপায় বলা হচ্ছে।
জয়পুর, (রাজস্থান) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
এপ্রিলে এক দুবার কালবৈশাখী এলেও মে পড়তেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সারা দেশের।
কলকাতা, (পশ্চিমবঙ্গ) ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম সহ দক্ষিণবঙ্গের নানা জেলায় তাপপ্রবাহে ত্রস্ত মানুষ।
রায়পুর (ছত্তিশগড়) ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
ছত্তিশগড়ে ফি বছরই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকে। এবছরও তার অন্যথা হয়নি।
রাঁচি (ঝাড়খণ্ড) ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
ঝাড়খণ্ডেও একইভাবে তাপের জেরে নাজেহাল মানুষ।
ভোপাল (মধ্যপ্রদেশ) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চলতি বছর তাপমাত্রার সঙ্গে জলীয় বাষ্প বেশি মাত্রায় মিশে হাঁসফাঁস অবস্থা বাড়িয়ে তুলেছে।
লখনৌ (উত্তরপ্রদেশ) ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
উত্তরপ্রদেশের প্রায় সব জেলাতেই লু-এর দাপট অব্যাহত।