পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু, আজ শ্রীনগরে রাজনাথ সিং
পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় মৃতের ছুঁল ৪০। এই সংখ্যাটা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনও বেশ কয়েক জন সিআরপিএফ জওয়ান মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় মৃতের ছুঁল ৪০। এই সংখ্যাটা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনও বেশ কয়েক জন সিআরপিএফ জওয়ান মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। শহিদ সিআরপিএফ জওয়ানদের দেহ আজইউ কফিন বন্দি করে তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো হচ্ছে। হেলিকপ্টারে এই কফিনগুলি নিয়ে যাওয়া হবে। শ্রীনগরে শহিদ জওয়ানদের আজ গার্ড অফ অনারও দেওয়া হবে। যেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্রীনগরে পৌঁছনোর কথা রাজনাথ সিং-এর। শ্রীনগরে সমস্ত উচ্চ পদস্থ নিরাপত্তা আধিকারিক এবং পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকালই এই ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এই হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। একটি মৃত্যু-কেও বিফলে যেতে দেওয়া হবে না। দেশের সাহসী জওয়ানদের-কে যে কাপুরুষতার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে তার জবাব দিতে দেশ প্রস্তুত বলেও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজনাথ।
এদিকে, পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় এনএসজি ও এনআইএ যৌথভাবে তদন্ত করবে। আজই বারো জনের এনআইএ দল পুলওয়ামার অবন্তিপুরের লাটোমোড়ে-তে পৌঁছচ্ছে। একটি ফরেনলিক দলও থাকছে এই তদন্তে। যারা আজ ঘটনাস্থল থেকে নানা নমুনা সংগ্রহ করবে। জানা গিয়েছে আইজি পদমর্যাদার কোনও অফিসার এই তদন্ত দলের নেতৃত্ব দেবেন।
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলা নিয়ে দিল্লিতেও আজ বৈঠক। সকালেই বৈঠকে বসছে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি। সকাল ৯.১৫টা থেকে এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। এই বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বিদেশমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং তাঁর অফিসাররা।
পুলওয়ামা ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কাশ্মীরে মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উপত্যকার বাকি অংশে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ২জি মোবাইলের স্পিড। পুলওয়ামার সন্ত্রাস নিয়ে ইতিমধ্যে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা থেকে শুরু করে বাংলাদেশ-সহ অধিকাংশ দেশ। সকলেই এই সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা করেছেন এবং বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস নির্মূলে দায়বদ্ধ থাকার অঙ্গিকারের কথা স্মরণ করেছেন। যদিও, পাকিস্তান একটি দায়সারা প্রতিক্রিয়া ছাড়া আর সেভাবেই এই ঘটনায় শক্তিশালী কোনো পদক্ষেপের কথা জানায়নি।