নাগরিকত্ব আইনে হিংসা বাড়ছে, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, অসমের পাশাপাশি উত্তাল বাংলাও
অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনে। শুক্রবার রাতে সোনিতপুর জেলায় একদল লোক আগুন ধরিয়ে দেয় একটি তেল ট্যাংকারে। ওই তেল ট্যাংকারের চালক মৃত
অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনে। শুক্রবার রাতে সোনিতপুর জেলায় একদল লোক আগুন ধরিয়ে দেয় একটি তেল ট্যাংকারে। ওই তেল ট্যাংকারের চালক মৃত্যু হল। এদিকে শনিবার বাংলায় হিংসার আগুনে পুড়ল পাঁচটি ট্রেন, তিনটি রেল স্টেশন, ট্রাক এবং কমপক্ষে ২৫টি বাস।
রাজ্যে রাজ্যে এই হিংসার জেরে অসমে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে ডিব্রুগড় ও গুয়াহাটি এবং মেঘালয়ের কিছু অংশে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। নাগাল্যান্ডে ছয় ঘন্টার বন্ধ ছিল। অসম ও মেঘালয়ে নির্ধারিত প্রার্থীদের জন্য ইউজিসির জাতীয় যোগ্যতা নির্ধারণের পরীক্ষা স্থগিত কর দেওয়া হয়েছিল।
বাংলায় বিক্ষোভকারীরা রেলের সম্পত্তি ধ্বংস করে দেয়। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ হয় মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও হাওড়া জেলায়। এই বিক্ষোভের ফলে দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং হাওড়া ও শিয়ালদা বিভাগে ট্রেন চলাচল প্রভাবিত হয়েছিল। রেলওয়ের আধিকারিক জানিয়েছেন, ২৮ টি এক্সপ্রেস ট্রেনসহ ৭৮টি ট্রেন দক্ষিণ পূর্ব রেলপথ বাতিল করা হয়েছে। প্রায় ৩৯টি ট্রেনের গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষ্ণপুর স্টেশনে বেশ কয়েকটি খালি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। লালগোলা স্টেশনে ভাঙচুর চালানো হয়। আন্দোলনকারীরা মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুরে রেলপথে আগুন ধরিয়ে দেয়। হাওড়া জেলার সাঁকরাইল রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এর ফলে সিগন্যালিং সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
হাওড়ার ডোমজুর ও বাগনানে বিক্ষোভকারীরা স্টেশনের বাইরে রাস্তায় রাস্তা অবরোধ করে এবং দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। টায়ার পোড়ানো ও বেশ কয়েকটি গাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের বিশাল দলকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। মুর্শিদাবাদে একটি টোল প্লাজা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।