পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন দপ্তরে শুরু হল টিকাকরণ কর্মসূচি
চারটে
রাজ্য
ও
কেন্দ্রশাসিত
অঞ্চল
প্রস্তুত
হচ্ছে
বিধানসভা
নির্বাচনের
জন্য।
যা
এ
বছরের
মার্চ
ও
মে
মাসের
মধ্যে
হবে।
তবে
নির্বাচন
শুরু
হওয়ার
আগে
এই
প্রক্রিয়ার
সঙ্গে
যুক্ত
সব
কর্মী
ও
আধিকারিকদের
করোনার
টিকাকরণ
করানো
হবে
বলে
জানা
গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার
দিল্লির
নির্বাচন
কমিশনের
সদর
দপ্তরে
পোল
আধিকারিকদের
করোনা
ভ্যাকসিন
টিকা
দেওয়া
শুরু
হল।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এম এস গিল ভ্যাকসিনের প্রথম শট নিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'নির্বাচন কমিশনের সমস্ত কর্মী ও আধিকারিকদের পর মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা এবং নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র ও রাজীব কুমার করোনার টিকা নেন।’ সম্প্রতি অরোরা ঘোষণা করেন যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পোল ডিউটিতে থাকা সকল কর্মী 'ফ্রন্টলাইন কর্মী’ এবং সুতরাং তাদের নির্বাচনের দায়িত্ব গ্রহণের আগে টিকা দেওয়া হবে, এরপরই টিকাকরণ কর্মসূচী শুরু করা হয়।
অরোরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন যে দেশজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচীর পরিস্থিতি নির্বাচন পরিচালনার জন্য আরও অনুকূল করে তুলেছে। চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি সহ বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে। বিশেষ টিকাকরণ কর্মসূচীতে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম ও পুদুচেরিতে নির্বাচন ডিউটির দায়িত্ব নেওয়ার আগে লক্ষাধিক পোলিং অফিসারকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন ডিউটির পর্যবেক্ষণ ও কোভিড–১৯ নির্দেশিকা নিয়ে পোল কমিটি বুধবার বিশদে আলোচনা করে। অরোরা ইতিমধ্যেই পর্যবেক্ষকদের পোলিং বুথগুলি পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে, ভোটের সময় প্রবীণ ব্যক্তি, বিশেষভাবে সক্ষম ও মহিলাদের সুবিধা রয়েছে কিনা বুথে তা দেখবেন তাঁরা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের এই বৈঠকে শারীরিকভাবে ও ভার্চুয়ালি ১৬৫০ জন পর্যবেক্ষক ১২০টি প্রত্যন্ত এলাকা থেকে যোগ দেন। ডিউটি করতে গিয়ে যদি কারোর গাফিলতি ধরা পড়ে তবে পর্যবেক্ষকরা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেই অফিসারের বিরুদ্ধে, নির্দেশ কমিশনারের।
গত বছরের নভেম্বর–ডিসেম্বর মাসে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের পর এটি দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন, যা পাঁচটি রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে, শুরু হচ্ছে ২৭ মার্চ থেকে এবং ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে।