অসহায়ভাবে জলের কাছে আত্মসমর্পণ , মুম্বইয়ের কাহিনি চোখে জল এনে দেবে
মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে ছ'টা নাগাদ শেষ বার স্বামীর ফোন পেয়েছিলেন মুম্বইয়ের চিকিৎসক দীপক অমরাপুরকারের স্ত্রী। স্ত্রীকে দীপক জানিয়েছিলেন তিনি বাড়ির কাছেই আছেন, ৫-৭ মিনিটের মধ্যে বাড়ি ঢুকে যাবেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে ছ'টা নাগাদ শেষ বার স্বামীর ফোন পেয়েছিলেন মুম্বইয়ের চিকিৎসক দীপক অমরাপুরকারের স্ত্রী। স্ত্রীকে দীপক জানিয়েছিলেন তিনি বাড়ির কাছেই আছেন, ৫-৭ মিনিটের মধ্যে বাড়ি ঢুকে যাবেন। কিন্তু আর ফেরা হয়নি। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এই গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট মুম্বইয়ের ভায়াবহ বন্যায় জলের তোড়ে লোয়ার প্যারেল এলাকার ম্যানহোলে তলিয়ে যান । এরপর ওরলিতে এক বড় নর্দমার মুখে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
ঘরের মুখে এসেও ঘরের মানুষটি ঘরে ফিরলেন না। এঘটনা মেনে নিতে পারছেন না ৫৮ বছর বয়সী চিকিৎসক দীপক আমরাপুরকারের পরিবার। গাড়ি রেখে ১০ মিনিটের মাথাতে বাড়ি ঢোকার কথা ছিল, কিন্তু জলের মধ্যে ম্যানহোল না দেখতে পেয়ে এই করুণ পরিণতি ঘটে যায় দীপক আমরাপুরকারের।
বন্যা বিধ্বস্ত মুম্বইয়ে একের পর এক মৃত্যুর খবর উঠে আসছে। কোথাও প্রবল বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে মারা গিয়েছেন কেউ, অনেকেই ভেসে গিয়েছেন জলের তোড়ে। প্রত্যেকটি মৃত্যু সংবাদই বেদনাদায়ক। তারই মধ্যে উঠে এলো আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনার খবর।
২৯ বছরের প্রিয়ম মান্থিয়া মঙ্গলবার যাচ্ছিলেন এক ইন্টারভিউ দিতে। পেশায় আইনজীবী প্রিয়মের গাড়ি কিংগস সার্কেলের কাছে আসতেই জলস্তর বাড়তে শুরু করে। জলে আটকে পড়ে তাঁর গাড়ি। আর সেই গাড়ির মধ্যে দমবন্ধ হয়ে মারা যান তরতাজা এই যুবক। এই ঘটনা মনে করিয়ে দেয় ২০০৫ সালে মুম্বইয়ের বন্যাতেও এইভাবেই মারা গিয়েছিলেন ১৬ জন।