জেঠমালানির দাবি আত্মসমর্পন করতে চেয়েছিল দাউদ, আদবানী-পাওয়ার করতে দেয়নি বলছে ছোটা শাকিল
নয়াদিল্লি, ৫ জুলাই: সুপ্রিম কোর্টের বরিষ্ঠ আইনজীবী রাম জেঠমালানির দাবি যে, লন্ডনে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর এবং ১৯৯৩ মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত ভারতে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল, যদিও তার কিছু শর্ত ছিল।
জি নিউজে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের বরিষ্ঠ আইনজীবীর কথায় ভারত সরকারের কাছে আত্মসমর্পন করতে চেয়েছিল দাউদ, কিন্তু মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শরদ পাওয়ার তার প্রস্তাব অস্বীকার করেছিল। তবে টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত খবরকে নস্যাৎ করেছেন প্রবীন আইনজীবী, যেখানে বলা হয়েছে, লন্ডনে ছোটা শাকিলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকাকে দেওয়া একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ছোটা শাকিল দাবি করেছে যে, বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানী দাউদ ও তাকে আত্মসমর্পন করতে দেননি।
শুক্রবার করাচি থেকে ফোনে টাইমস ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাকিল জানায়, "যখন ১৯৯৩ সালের পর আমরা ভারতে ফিরে আসতে চেয়েছিলাম, তোমাদের সরকার আমাদের তা করতে দেয়নি। ভাই নিজে সেই সময়ে লন্ডনে জেঠমালানির সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কথা হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তোমাদের মন্ত্রক ....আদবানী পুরো খেলাটা খেলে দিয়েছিল।"
পাকিস্তানেই লুকিয়ে দাউদ, নতুন আস্তানার খোঁজ পেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
জেঠমালানির দাবি, দাউদ জেলে বন্দী হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না তাই ভারতে ফিরতে ভয় পাচ্ছিল, সে চেয়েছিল তাকে গৃহবন্দী করা হোক। এর পাশাপাশি তার আরও একটি দাবি ছিল যে, সে যদি আত্মসমর্পন করে তাহলে যেন তার উপরে কোনও রকমের 'থার্ড ডিগ্রি' প্রয়োগ করা না হয়।
'দাউদকে ফেরত না আনা পর্যন্ত বিশ্রাম নেব না' : সংসদে বললেন রাজনাথ
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সাক্ষাৎকারে শাকিল ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির উপর আর এক ডন ছোটা রাজনের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর কথায়, ছোটা রাজন স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ গোয়েন্দারা শুধুমাত্র দাউদের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
শাকিল এও বলে, ছোটা রাজন কোনও হিন্দুপ্রেমী ডন নয়, যেমনটা মিডিয়া দেখানোর চেষ্টা করে, বরং টাকার বিনিময়ে বহু হিন্দুকে খুন করেছে সে। পাশাপাশি শাকিল একথাও স্বীকার করে নেয় যে, দাউদের লোকেরা রাজনকে মারার চেষ্টা চালিয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় সফলও হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু 'রাজন ইঁদুরের মতো পালিয়ে গিয়েছিল। '