দাউদ ইব্রাহিমের শরীর জুড়ে পচন-জনিত রোগ! ভারতের 'মোস্ট ওয়ান্টেড'কে ঘিরে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
বৃহস্পতিবার মুম্বই পুলিশ এক বহু প্রতীক্ষিত সাফল্য হাতে পেয়ে যায়। বিহারের পাটনা থেকে ধরা পড়ে দাউদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ তথা ডি-কম্পানির অন্য়তম নাম ইজাজ লাকড়েওয়ালা। আর ইজাজকে পাকড়াও করেই দাউদ সম্পর্কে ও তার আন্ডারওয়ার্ল্ডের কার্যকলাপ সম্পর্কে একাধিক তাক লাগানো তথ্য জানতে পারে পুলিশ।
দাউদ এই মুহূর্তে কোথায়?
পাকিস্তানের 'মিথ্যা' বক্তব্যকে আরও একবার প্রমাণ করে ইজাজ পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে রয়েছে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড দাউদ ইব্রাহিম। সেখান থেকে বসেই দাউদ চালাচ্ছে তার ডি-কম্পানি গ্যাং।আর সেখানেই দাউদের সঙ্গে ইজাজের বহুবার দেখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সে।
দাউদের শরীর জুড়ে পচন!
মুম্বই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সামনে পড়ে ইজাজ জানিয়ে দেয়, একটা সম মুম্বইয়ের ত্রাস হয়ে ওঠা দাউদের শরীর আপাতত পচন জনিত রোগে আক্রান্ত। '৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম মাথা দাউদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পচে যেতে শুরু করেছে এখন।
নিয়মিত হজ-এ যান দাউদ
মুম্বই পুলিশকে ইজাজ জানিয়েছে, দাউদের শারীরিক যাবতীয় অসুবিধা সত্ত্বেও নিয়মিতভাবে সে হজে যায়। অন্যদিকে, পাকিস্তান যে দাউদকে কতটা নিরাপত্তা দিয়ে বহাল তবিয়তে রেখে দিয়েছে, সেই সমস্ত তথ্যও ইজাজ ফাঁস করে দেয় মুম্বই পুলিশের কাছে।
ইজাজ লাকড়াওয়ালে আসলে কে?
গত ২১ বছর ধরে দাউদের ডি কম্পানির অন্যতম হোথা ইজাজ। মূলত, ইজাজও দাউদের মতো আন্ডারওয়ার্ল্ডের অন্যতম ডন হিসাবে খ্যাত। আর গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ইজাজ ভারত ছেড়ে পালাতে চেষ্টা করছিল। ঠিক যখন ভারত ছাড়বার পরিকল্পনায় ইজাজ ছিল, ঠিক তখনই তাকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ।
কিভাবে ইজাজকে ধরে ফেলে পুলিশ?
ইজাজকে ধরে দিতে সাহায্য করে ইজাজ কন্যা শিফার পাসপোর্ট। ইজাজ দেশ ছাড়ার আগে তার মেয়ে শিফা শাহিদ শেখ মুম্বই থেকে ২৮ ডিসেম্বর নেপালের উদ্দেশে রওনা হওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় শিফার কাছ থেকে জাল পাসপোর্ট উদ্ধার হয়। এরপরই মুম্বই পুলিশে নিজের মতো করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ইজাজ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে সহজেই।