পছন্দের বিয়েতে পিছনে গুণ্ডা! বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে মেয়ের অভিযোগে চাঞ্চল্য
পছন্দের বিয়েতে বাড়ির মত নেই। নিজের জাতির পাত্রকে বিয়ে না করায় মেয়ের পিছনে গুণ্ডা লাগিয়েছেন বাবা। বাবা আবার যোগী রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশের কাছে পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পাশাপাশি নিরাপত্তারও দাবি করেছেন বিধায়ক কন্যা। বিষয়টি নিয়ে তারা আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন।

বরেলি থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত বিধায়ক রাজেশ মিশ্রের মেয়ে বছর ২৩ -এর সাক্ষী মিশ্র। তিনি এবং তাঁর স্বামী এলাহাবাদ হাইকোর্টের কাছে পুলিশি নিরাপত্তার দাবি করেছেন। ভিডিও-তে বাবা ও ভাইকে যথাক্রমে পাপ্পু ভার্তাউল এবং ভিকি ভার্তাউল নামে অভিহিত করা হয়েছে।
ভিডিওতে সাক্ষী বলেছেন, পাপা এবং ভিকি, মানে সম্মানিত বিধায়ক পাপ্পু ভার্তাউলজি এবং ভিকি ভার্তাউলজি, শান্তিতে থাকতে দিন। তিনি বিয়ে করেছেন বলেও জানিয়েছেন। আর ফ্যাশানের কারণে তিনি সিঁদুর পরেননি বলেও জানিয়েছেন। পাশেই থাকা স্বামী মোবাইল ফোনে এই কথা রেকর্ড করছেন।
গত বৃহস্পতিবার সাক্ষী মিশ্র বিয়ে করেছেন ২৯ বছরের ব্যবসায়ী অজিতেশ কুমারকে। সাক্ষীর ভাইয়ের মাধ্যমেই দুজনের পরিচয়। সাক্ষীর ভাইয়ের বন্ধু হলেন অজিতেশ। কিন্তু তারা বর্তমানে কোথায় রয়েছেন তা অবশ্য পরিষ্কার নয়। অন্যদিকে অজিতেশের পারিবারিক বাড়িতেও তালা দেওয়া।
ভিডিও-তে সাক্ষী বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তুমি আমার পিছনে গুণ্ডা লাগিয়েছ। যেমন রাজীব রানা এদের মধ্যে একজন। আমরা পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। পাশাপাশি তাদের জীবন যে বিপদের মধ্যে তাও বর্ণনা করেছেন সাক্ষী। স্বামী ও তার পরিবারকে যাতে বাবা ও ভাই বিপদে না ফেলেন, তার জন্যও আবেদন জানিয়েছেন সাক্ষী।
আর যদি তিনি, চার স্বামী এবং স্বামীর পরিবারের যদি কিছু হয়, তাহলে বাবা, ভাই এবং রাজীব রানা দায়ী থাকবেন বলে জানিয়েছেন, বিধায়কের মেয়ে সাক্ষী। অপর একটি ভিডিও-তে সাক্ষী পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দাবি করেছেন।
[আরও পড়ুন:মমতার কথায় কংগ্রেসকে হারাতে তৃণমূলকে সমর্থন বিজেপির! মুকুলের দাবি ঘিরে জল্পনা ]
যদিও বিজেপি বিধায়ক মেয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিষয়টিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি। বলেছেন, মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক। নিজের বিষয়ে
সিদ্ধান্ত সে নিজেই নিতে পারে। তনি কাউকে হুমকি দেননি বলেও জানিয়েছেন। নিজের পরিবার এবং তিনি নিজে কাজে ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে মেয়ের বিয়েতে বাধা দেওয়ার খবর স্বীকার করে নিয়েছে। তা জাতিগত কারণে নয়। বয়সের পার্থক্য এবং কম আয়ের জন্য।
[আরও পড়ুন: আর্থিক তছরূপের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবীর বাড়িতে সিবিআই হানা ]